বরিশাল বিভাগে ১৮২৩ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

অনলাইন ডেস্ক ||একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে কাজ শুরু করেছে পুলিশ। এরই মধ্যে কেন্দ্রগুলোর তালিকা তৈরি করে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে নিরাপত্তা ছকও তৈরি করেছে পুলিশ সদর দপ্তর। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে কেন্দ্রগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ না করে তা ‘গুরুত্বপূর্ণ’ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

নির্বাচনের দিন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ভোটকেন্দ্রসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশের সদস্য সরাসরি মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া রিজার্ভ ফোর্স, কেন্দ্রভিত্তিক মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বে থাকবেন। জানাগেছে, একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোটাররা সারাদেশে ৪০ হাজার ২৭৩টি ভোটকেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

 

এর মধ্যে ২৫ হাজার ৮২৭টি কেন্দ্রই ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাকি ১৪ হাজার ৪৪৬টি কেন্দ্রকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রের মধ্যে দুর্গম এলাকায় এক হাজার ৬৩২টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।পুলিশ সদর দপ্তরের এ হিসাবে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সারাদেশে মোট ভোটকেন্দ্রের ৬৪ দশমিক ১৩ ভাগ ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে। বাকি ৩৫ দশমিক ৮৭ ভাগ সাধারণ কেন্দ্র।পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জানা গেছে, পুলিশের দৃষ্টিতে ঝুঁকিপূর্ণ কোনো কেন্দ্র নেই।

সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় সব ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সাধারণ কেন্দ্রগুলোর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তায়ও পুলিশ বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে।পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ভোটকেন্দ্রগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এর একটি ‘সমতল এলাকা’ ও অপরটি ‘বিশেষ এলাকা’ হিসেবে ধরা হয়েছে। দুটি এলাকাতেই ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ও ‘সাধারণ’ হিসেবে কেন্দ্রগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, বরিশাল মহানগর এলাকার ১৯৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭১টি সাধারণ ও ১২৬টি কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বরিশাল রেঞ্জের দুই হাজার ৩৩১টি কেন্দ্রের মধ্যে এক হাজার ৬৯৭টিই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই রেঞ্জে মাত্র ৬৩৪টি কেন্দ্র সাধারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।

পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংখ্যা বেশি থাকবে। এ জন্য পুলিশের স্থানীয় ইউনিটগুলোর চাহিদা অনুযায়ী পুলিশ, র‌্যাবসহ অন্যান্য সংস্থার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।