শামীম আহমেদ ॥ বৃহত্তর ভোলা জেলা ব্যতিত এ পর্যন্ত বরিশাল বিভাগে মোট ৮১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আর এই ৮১ জনের মধ্যে দুইজন ভারতীয় নাগরিকসহ বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মীও রয়েছে।
তবে আক্রান্তদের এখন পর্যন্ত সুস্থ হওয়ার কোন খবর পাওয়া যায়নি। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, করোনার সংক্রমন প্রতিরোধে বিদেশী নাগরিকসহ ভিন্ন জেলা (সংক্রমিত) থেকে আগত ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে রাখার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
ফলে গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ বিভাগের ৬ জেলায় মোট ৮ হাজার ৮৩৮ জনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। যারমধ্য হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো ৭ হাজার ৮০৩ জনের মধ্যে এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৫৯৬ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
এছাড়া বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন জেলায় হাসপাতালে (প্রতিষ্ঠানিক) কোয়ারেন্টিনে ৫০৭ জন রয়েছেন এবং এ পর্যন্ত ২৪২ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। অপরদিকে গত ২৪ ঘন্টায় বিভাগের ৬ জেলায় ২২৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে প্রেরণ করা হয়েছে এবং গত ২৪ ঘন্টায় বিভগের ৬ জেলায় ৩৪০ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
এছাড়া বিভাগের মধ্যে শুধুমাত্র বরগুনা জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় মোট ৪ জনকে প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে, এছাড়া শুধুমাত্র পিরোজপুর ও বরগুনা জেলায় ৩১ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। এরবাহিরে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ১৩৬ জন রোগী আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং এরইমধ্যে ৬৪ জনকে ছাড়পত্রও দেয়া হয়েছে।
এদিকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ বাসুদেব কুমার দাস জানিয়েছেন, বিভাগের মধ্যে এ পর্যন্ত মোট বরিশাল জেলায় ৩৪, পটুয়াখালীতে ১৩, ভোলায় ২ জন, পিরোজপুরে ৫, বরগুনায় ২১ ও ঝালকাঠিতে ৬ জনের কোভিড-১৯ পজেটিভ পাওয়া গেছে। এছাড়া শের –ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হওয়া ৩ জন রোগী, যারা করেনায় আক্রান্ত ছিলেন তাদের ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
এছাড়া বরিশালের মুলাদীতে, পটুয়াখালী জেলার দুমকি ও বরগুনা জেলার আমতলী ও বেতাগীতে ১ জন করে ৪ জন ব্যক্তির করোনায় মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তিনি।