বরিশাল বিভাগে মোট করোনা শনাক্ত ৯৯৪, মৃত্যু ২০

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় এখন পর্যন্ত মোট ৯৯৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ২৩২ জন।

শনিবার (৬ জুন) বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, শেষ ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় নতুন করে আরও ১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয় ৫১ জনের।

সংক্রমণ প্রতিরোধে বিদেশ থেকে আগত ছাড়াও সংক্রমিত অন্য জেলা ও এলাকা থেকে আগতদের কোয়ারেন্টিনে রাখার কার্যক্রম এখনও চলছে। গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ বিভাগের ৬ জেলায় মোট ১৫ হাজার ৯৭৬ জনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।

এদের মধ্যে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয় ১৪ হাজার ৮৪৯ জনকে। ইতোমধ্যেই তাদের মাঝ থেকে ১২ হাজার ২৮২ জন হোম কোয়ারেন্টিন শেষে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এছাড়া বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন জেলায় হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ১ হাজার ১২৭ জন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন থেকে এখন পর্যন্ত ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮৫৭ জন। এর বাইরে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসা প্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা ৮৪৯। এরই মাঝে তাদের মধ্য থেকে ৩৭২ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া শুধুমাত্র বরিশাল শের-ই- বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ও করোনা ওয়ার্ডে এখন পর্যন্ত মোট ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ১০ জন করোনা পজেটিভ। বাকিরা করোনা উপসর্গে মারা গেছেন।

বিভাগের করোনা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানিয়েছেন, বিভাগের মধ্যে এ পর্যন্ত বরিশাল জেলায় ৬১৭ জন, পটুয়াখালীতে ৭৮, ভোলায় ৬৮, পিরোজপুরে ৮৭, বরগুনায় ৮০ ও ঝালকাঠিতে ৬৪ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে। এর মধ্যে গোটা বিভাগে ২৩২ জন সুস্থ হয়েছেন।

এছাড়া মারা যাওয়া করোনা পজেটিভ ২০ জনের মধ্যে বরিশাল নগরের চান্দুরা মার্কেট এলাকায় ১ জন, কাজিপাড়ায় ১ জন, বাবুগঞ্জে ১জন, গৌরনদীতে ১ জন, বাকেরগঞ্জে ১ জন, ও মুলাদীতে ২ জনসহ মোট ৭ জন, পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলা, গলাচিপা, মির্জাগঞ্জ ও দুমকিতে ১ জন করে মোট ৪ জন, পিরোজপুর সদর নেছারাবাদ ও নাজিরপুরে ১ জন করে মোট ৩ জন, বরগুনা জেলার আমতলী ও বেতাগীতে ১ জন করে মোট ২ জন, ঝালকাঠির নলছিটি ও কাঠালিয়াতে ১ জন করে মোট ২ জন, এবং ভোলার লালমোহন ও চরফ্যাশনে ১ জন করে মোট ২ জন রয়েছেন বলে জানান বাসুদেব কুমার।