বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় মোট ১৬০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ৮৩ জন। আর শনাক্ত থেকে সুস্থ হওয়াদের মধ্যে বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মীও রয়েছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, করোনার সংক্রমন প্রতিরোধে বিদেশী নাগরিকসহ ভিন্ন জেলা (সংক্রমিত) থেকে আগত ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে রাখার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ফলে গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ বিভাগের ৬ জেলায় মোট ১০ হাজার ৭৮৪ জনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়।
যারমধ্য হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয় ১০ হাজার ১০৬ জনকে, আর এরমধ্যে ৮ হাজার ৪৭৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন জেলায় হাসপাতালে (প্রতিষ্ঠানিক) কোয়ারেন্টিনে ৬৭৮ জন রয়েছেন এবং এ পর্যন্ত ৬১২ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে গত ২৪ ঘন্টায় বিভাগের ৬ জেলায় ১৩১ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে প্রেরণ করা হয়েছে এবং গত ২৪ ঘন্টায় বিভগের ৬ জেলায় ১৪৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিভাগের মধ্যে শুধুমাত্র বরগুনা জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় ৫ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে, এছাড়া শুধুমাত্র পটুয়াখালী জেলায় ১৭ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
এরবাহিরে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসা প্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা ২৭৯ জন এবং এরইমধ্যে ১৮২ জনকে ছাড়পত্রও দেয়া হয়েছে।
এদিকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ বাসুদেব কুমার দাস জানিয়েছেন, বিভাগের মধ্যে এ পর্যন্ত বরিশাল জেলায় ৫১ জন, পটুয়াখালীতে ৩০, ভোলায় ৮, পিরোজপুরে ১৯, বরগুনায় ৩৮ ও ঝালকাঠিতে ১৪ জন করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে।
পাশাপাশি বিভাগের মধ্যে এ পর্যন্ত বরিশাল জেলায় ৩৪ জন, পটুয়াখালীতে ১৬, ভোলায় ২, পিরোজপুরে ৪, বরগুনায় ২২ ও ঝালকাঠিতে ৫ জন করোনা পজেটিভ রোগী সুস্থ হয়েছেন। যাদের এরইমধ্যে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
এছাড়া বরিশালের মুলাদীতে, পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলায় ১ জন, মির্জাগঞ্জে ১ ও দুমকিকে ১ জন এবং বরগুনা জেলার আমতলী ও বেতাগীতে ১ জন করে ৬ জন ব্যক্তির করোনায় মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তিনি।