বরিশাল সরকারি বিএম কলেজের মহাত্মা অশ্বিনী কুমার ছাত্রাবাসের ডাইনিং শিক্ষা মন্ত্রানালয় ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর বিধি ভংগ করে অবৈধ সুবিধা নিয়ে লিজ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে কলেজ ও ছাত্রাবাস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। সরকারি বিএম কলেজের
ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক এ এস কাইউম উদ্দীন আহমেদ এবং মহাত্মা অশ্বিনী কুমার ছাত্রাবাসের তত্বাবধায়ক ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ রফিকুল ইসলাম খানের বিশেষ তদবিরে বিএম কলেজের বিলুপ্ত অস্থায়ী কর্মপরিষদের কথিত ভিপি বিতর্কিত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মঈন তুষারের সহযোগী ঐ কর্ম পরিষদের স্বঘোষিত সদস্য ইভানের কাছে লিজ দিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন সরকারি বিএম কলেজের ডিগ্রী ছাত্রাবাসের ডাইনিং এ একসময় নিয়মিত ৪/৫ শত বোর্ডার ছিল। বর্তমান তত্বাবধায়ক রফিকুল ইসলাম খান দায়িত্ব নেয়ার পর ছাত্রাবাসের একটি গ্রুপকে বিশেষ সুবিধা দেয়া শুরু করলে, ডাইনিং এর খাবারের মান কমতে থাকে।
২০১৪ সালের শুরুতে কুয়াকাটা পিকনিকে যাওয়ার কথা বলে প্রতিমিলে জনপ্রতি ৫ টাকা হারে চাদা নির্ধারন করে। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইভানকে ডাইনিং পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়। ২০১৪ সালে ৯ এপ্রিল সাবেক সিটি মেয়র শওকত হোসেন হিরনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে পিকনিক না হওয়াতে শিক্ষার্থীদের জমানো লক্ষাধিক টাকা হোস্টেল সুপার ও ইভান মিলে আত্মসাৎ করে। এছাড়া ২০০৭ সালে কলেজ কর্তৃপক্ষ হোস্টেলের ছাত্রদের ভোগ দখলের জন্য কলেজের চারটি পুকুর নামমাত্র মূল্যে লিজ দেয়। বর্তমানে হোস্টেলের ভোগদখলে থাকা ৪টি পুকুর থেকে বছরে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় হলেও তার কোনো হিসাব নেই। অভিযোগ রয়েছে হোস্টেল কর্তৃপক্ষ ও তাদের অনুগত কয়েকজন মিলে পুরো টাকাই আত্মসাৎ করেছে। এই বিশেষ গ্রুপকে সুবিধা প্রদান এবং নিজের সকল দূর্নিতী ঢাকতেই সরকারি ভবনে কলেজের বিদ্যুৎ, পানি আসবাবপত্র এবং কর্মচারীদের ব্যবহার করে ডাইনিং পরিচালনা করতে দিয়েছেন।
এব্যাপারে ছাত্রাবাসের তত্বাবধায়ক রফিকুল ইসলাম খানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি। কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক এ এস কাইয়ুম উদ্দিন আহমেদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি ডাইনিং লিজ দেয়ার কথা সরাসরি অস্বীকার করেন। আমাদের কাছে তথ্য প্রমান আছে এমনটা জানালে তিনি বলেন আমাদের একজন ছাত্রকে চালানোর মৌখিক অনুমতি দেয়া হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে অতীতে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আছে। জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি জানিনা। কলেজ উপাধ্যক্ষ প্রফেসর স্বপন কুমার পাল বলেন ডাইনিং লিজ দেয়া হয়নি। বন্ধ থাকার কারনে একজনকে চালানোর অনুমতি দেয়া হয়েছে। সরকারি সম্পত্তি কাউকে ব্যাবহারের মৌখিক অনুমতি দেয়া যায় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন সবকিছু নিয়ম মেনে হয়না।
কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর শফিকুর রহমান শিকদার এব্যাপারে বলেন আমার এ ব্যাপারে জানা নেই। আমি আগামীকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখব। যদি ছাত্ররা কোনো অভিযোগ দেয় তাহলে বন্ধ করে দেব। অতীতের অর্থ আত্মসাতের ব্যাপারে আমি খোজ খবর নিয়ে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
© স্বত্ব আর্থটাইমস্ ২৪.কম
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ জাকারিয়া আলম (দিপু)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ:বরিশাল-৮২০০।
আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:::
নিউজ মেইল:::
earthtimes24@gmail.com(নিউজ)
news@earthtimes24.com(নিউজ)
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
২০১৭ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত earthtimes24.com