 
     বরিশাল নদীবন্দরে প্রবেশ টিকিট না ছিঁড়ে আবারও বিক্রি করায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) তিন শুল্ক আদায়কারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বরিশাল নদীবন্দরে প্রবেশ টিকিট না ছিঁড়ে আবারও বিক্রি করায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) তিন শুল্ক আদায়কারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
একই সঙ্গে বরিশাল কার্যালয়ের বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানকে ঢাকায় বদলি করা হয়েছে। একে একে বন্দরের সব কর্মকর্তাকে সরানো হবে বলে জানা গেছে।
গত শনিবার বিআইডব্লিউটিএ’র কেন্দ্রীয় অফিস থেকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। বদলির আদেশ পাওয়ার পর রবিবার বরিশাল ছেড়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। বিআইডব্লিউটিএর বন্দর ও পরিবহন শাখার পরিচালক কাজী ওয়াকিল নওয়াজ এ তথ্য জানিয়েছেন।
সাময়িক বরখাস্তকৃতরা হলেন—বরিশাল নদীবন্দরে শুল্ক আদায়কারী ফারুক সরদার, মাসুদ হোসেন খান ও মনির হোসেন। বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ অফিস সূত্র জানায়, বরিশাল নৌবন্দরে প্রবেশ টিকিট কালোবাজারে বিক্রির বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ওই খবরের সূত্র ধরে গত ২৮ জুন স্থানীয় দুদক অফিসের কর্মকর্তারা অভিযান চালান।
এ সময় নদীবন্দরের ২ নম্বর কাউন্টারে বিক্রি করা ৮৬৩টি টিকিট ড্রয়ার ও ঝুলিয়ে রাখা ব্যাগ থেকে জব্দ করা হয়। ওইসব টিকিট যাত্রীদের কাছে আবারও বিক্রি করার জন্য রাখা হয়েছিল।
একই সময় এক নম্বর কাউন্টারে বিক্রি হওয়া টিকিটের দামের চেয়ে বেশি টাকা পাওয়া যায়। একই টিকিট একাধিকবার বিক্রি করায় বাড়তি টাকা আদায় করা হয়েছে বলে দুদক কর্মকর্তাদের ধারণা। এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র কেন্দ্রীয় দফতরে প্রতিবেদন দেওয়ার পর নড়েচড়ে বসেন সেখানকার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বরিশাল নৌবন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এর আগে বিআইডব্লিউটিএর তদন্তে এ ঘটনা ধরা পড়ার পর ওইসব কর্মচারীকে সাবধান করে দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু তারা তাদের দুর্নীতিতে অটল থাকে। যা পরে দুদক এর অভিযানে ধরা পড়ে। শাস্তিস্বরূপ তিন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আমাকে স্ট্যান্ডরিলিজ করা হয়। এছাড়া আরও যারা কর্মরত রয়েছে তাদেরকেও এখান থেকে বদলি করা হবে বলে কেন্দ্রীয় অফিস সূত্র জানিয়েছে।’
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শেখ আবুল হাসেম বলেন, ‘এই দুর্নীতি নতুন নয়। এজন্য সরকারে কোষাগারে তেমন টাকাও জমা পড়ে না। দেরিতে হলেও বিষয়টি ধরা পড়েছে। এ ধরনের অপরাধে যাতে কেউ জড়িত না হয় সেজন্য কঠোর শাস্তি দাবি করছি।’
বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক ওয়াকিল নেওয়াজ জানান, পর্যায়ক্রমে বরিশাল নৌবন্দর থেকে সব কর্মচারীকে বদলির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। বরিশাল অফিসে নতুন লোক দিতে বিলম্ব হওয়ায় সবাইকে একবারে সরানো যাচ্ছে না।
© স্বত্ব আর্থটাইমস্ ২৪.কম
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ জাকারিয়া আলম (দিপু)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ:বরিশাল-৮২০০।
আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:::
নিউজ মেইল:::
earthtimes24@gmail.com(নিউজ)
news@earthtimes24.com(নিউজ)
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
২০১৭ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত earthtimes24.com