গভীর নলকূপ স্থাপনের বিষয়ে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের অনুমোদন ফি এর ভুয়া রশিদ তৈরি করে প্রতরনার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করায় এক প্রতারককে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করা হয়েছে।
আটক মুন্না বেপারী কাগাশুরা এলাকার বারেক বেপারীর পুত্র ও স্যানিটারী মিস্ত্রি বলে জানা গেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে মুন্নাকে নগর ভবন থেকে আটক করে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার মোবাইল ডিউটিরত পুলিশের কাছে সোর্পদ করা হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ইছাকাঠী মহামায়া এলাকার জনৈক কবির গভীর নলকূপ বসানোর জন্য স্যানিটারী মিস্ত্রি মুন্নার সাথে এক লাখ ৩০ হাজার টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয়। সে অনুযায়ী কবির প্রাথমিক অবস্থায় মুন্নাকে ৭৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। টাকা হাতে পেয়ে মুন্না প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের অনুমোদন ফি এর একটি ভুয়া রশিদ তৈরি করে।
একাজে সে কাগাশুরা ‘ইরা স্টুডিও’র সেলিমের সহযোগিতা নেয় এবং সেলিম একটি ভুয়া রশিদ তৈরি করে মুন্নাকে সরবরাহ করে। পরবর্তীতে মুন্না ওই ভুয়া রশিদ কবিরকে সরবরাহ করে। কবির তা হাতে পেয়ে নলকূপ বসানোর কাজ শুরু করে। বিষয়টি টের পেয়ে সিটি কর্পোরেশন থেকে সংশ্লিষ্টরা ওই স্থানে গেলে প্রতারনার বিষয়টি ধরা পড়ে। কর্পোরেশনের পানি সরবরাহ শাখা থেকে বিষয় টি তদন্ত করে প্রতারক মুন্নার সাথে যোগাযোগ করা হয় এবং আজ তাকে কৌশলে নগর ভবনে ডেকে আনা হয়। মুন্না নগর ভবনে এলে প্রতারনার বিষয় টি তার কাছে উপস্থাপন করলে সে অকপটে তার প্রতারনার কথা স্বীকার করে।
এসময় মুন্না জানায়, প্রতারনার আশ্রয় নেয়ার পর বিষয়টি হাসিব নামে এক স্যানিটারী প্রতিষ্ঠানের মালিককে অবগত করে। সে বিষয়টি দেখবে বলে মুন্নার কাছে ১৫ হাজার টাকা দাবি করে। এব্যাপারে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস জানান, প্রতারনার বিষয় টি বুঝতে পেরে আমরা প্রতারক মুন্নাকে কৌশলে আটক করতে সক্ষম হই। পরবর্তীতে তাকে পুলিশে সোর্পদ করা হয়েছে ও প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে”।