বরিশাল নগরীর দপ্তরখানা ও বাজাররোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
১০ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের সদস্যদের সহযোগিতায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুমি রাণী মিত্র ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ শাহ শোয়াইব মিয়ার নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়।
এসময় শিশু খাদ্য ও মুদি দোকানের পাশাপাশি পেঁয়াজ, রসুন, আদার পাইকারি আড়তে অভিযান চালানো হয়েছে।
অভিযানে দপ্তরখানা এলাকার আনন্দ বেকারীর ফ্যাক্টরীকে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে খাদ্য তৈরি ও সংরক্ষন করা, খাদ্যপণ্যে অগ্রিম উৎপাদনের তারিখ ব্যবহার করায় ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া পণ্যের মোড়কে উৎপাদনের তারিখ ও মেয়াদ না রাখা, খুচরা বিক্রয় মূল্য না থাকা, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা এবং পণ্যের মোড়কে আমদানিকারকের তথ্য ও এমআরপি না থাকায় বাজার রোড এলাকার ন্যাশনাল মসলা হাউজকে ৮ হাজার টাকা, সিরাজ স্টোরকে ৮ হাজার টাকা, বিসমিল্লাহ স্টোর্সকে ৩ হাজার, মারুফ স্টোর্সকে ৩ হাজার, নুহানা স্টোর্সকে ২ হাজার এবং এমি স্টোর্সকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এসময় উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে বিক্রির উদ্দেশ্যে বাজারজাত করা খেলনাযুক্ত ৩ বস্তা শিশু খাদ্য জব্দ করা হয়। পরে তা জনসম্মুখে ধ্বংস করা হয়েছে।
অভিযানে ১০ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের এসআই কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করে।
ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ শাহ শোয়াইব মিয়া।