বরিশাল নগরীর শত বছরের সরকারি পুকুর চুরির নগ্ন মিশনে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশাল নগরীর সাগরদী বাজার জামে মসজিদ ও পিটিআই দেয়াল সংলগ্ন জেলা পরিষদের রেকর্ডিয় সরকারী পুকুর দীর্ঘদিন থেকে দখল করে রেখেছে কতিপয় প্রভাবশালীরা। ইতোমধ্যে ওই সরকারী পুকুরের দখলকারীরা নিজেদের নামে বিএস রেকর্ড করে নিয়েছে।

পুকুরটির চারিপাশের ভূমি দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মান করেছে কতিপয় প্রভাবশালী। পুকুরের মধ্যে বিভিন্ন আগাছার ভাগারে পরিনত হয়েছে।

সূত্রমতে, অবৈধ দখলকারীদের হাত থেকে সরকারী পুকুরটি রক্ষার জন্য জেলা পরিষদ বরিশাল জোনাল সেটেলমেন্ট ভূমি অফিসে ৩০ধারার পর এবার ৩১ ধারার আপত্তি কেস দায়ের করেছে।

অভিযোগ রয়েছে, জোনাল সেটেলমেন্টের কতিপয় অসাধু অফিসারকে ম্যানেজ করে অবৈধ দখলদাররা বিএস জরিপে ৩০ ধারায় নিজেদের নামে রেকর্ড নিয়েছে। আর এতে করে জেলা পরিষদ ৩০ ধারার বিরুদ্ধে চলমান ৩১ ধারার আপত্তি কেস দায়ের করেছে।

জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, রূপাতলী ৫৬নং মৌজার ৭১১ ও ৭১২ নং দাগের ৫৪ শতক জমির পুকুর জেলা ডিস্ট্রিক বোর্ডের নামে। পরবর্তীতে খতিয়ান পরিবর্তিত হয়ে ৫০৮, ৫০৯ ও ৯৯৬ দাগ হয়। বিষয়টি জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার রিয়াজ হোসেন ২০১১ সনের ২৪ জানুয়ারি সংশ্লিস্ট দপÍরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে অবহিত করেন।

জেলা পরিষদের ওই সরকারী পুকুর নিজেদের নামে ফিরিয়ে নিতে তৎকালীন জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছিলো। ওইসময়কার আদেশে উল্লেখ রয়েছে, সাগরদী বাজারের পুকুরটি জেলা পরিষদের নামে রেকর্ড ছিলো। তবে এসএ রেকর্ডে অন্যদের নামে চলে গেছে। তাই জেলা পরিষদের পুকুর ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের একান্ত প্রয়োজন।

সূত্রমতে, শত বছরের সরকারী ওই পুকুরটি জেলা পরিষদ কয়েক বছর বাৎসরিক ইজারা প্রদানের মাধ্যমে রাজস্ব আয় করতো। এরইমধ্যে দখলকারীরা জেলা পরিষদের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ওই পুকুরের ইজারা প্রথা বন্ধ করে দেয়।

এ সুযোগে স্থানীয় কতিপয় অসাধু ব্যক্তি ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে জেলা পরিষদের পুকুরটি তাদের নামে রের্কড করে নেয়। পাশাপাশি সরকারী সম্পতির উপর স্থাপনা করে নির্মান করে বছরের পর বছর ভোগ দখল করে আসছে।

এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, সাগরদী পুকুরটি পূর্বে তাদের নামে ছিলো। বর্তমানে অবৈধ দখলদারদের রেকর্ডের বিষয়ে সেটেলমেন্ট থেকে সুরাহা না হলে তারা দেওয়ানী আদালতে মামলা দায়ের করবেন।