চাকরিজীবী ইসরাত তামান্না বরিশাল নগরীর চৌমাথা বাজারের সাতটি দোকান ঘুরেও কিনতে পারছিলেন না তরমুজ। যে দোকানেই যাচ্ছেন, সেখানেই বলছে, কেজি ৫০ টাকা। এমনকি একেবারে ছোট আকৃতির তরমুজও বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে। এক পর্যায়ে তিনি তরমুজ কিনবেন নাকি কিনবেন না এ ভাবনায় পড়ে যান।
পাশেই এ প্রতিবেদককে দেখে অনেকটা আগ্রহ নিয়েই ইসরাত তামান্না বলেন, খুচরা বিক্রেতারা অনেক উঁচু মূল্যে তরমুজ বিক্রি করছেন।
দোকানিরা সাংবাদিকদের ক্যামেরা বা প্রশাসনের লোক দেখলেই কেবল বলে পিস হিসেবে বিক্রির কথা। বাস্তবতায় তারা পিস হিসেবে কোনো তরমুজ বিক্রি করেন না, সব ব্যবসায়ীই কেজি দরে বিক্রি করছেন। ব্যবসায়ীদের কাছে যেন ক্রেতারা জিম্মি হয়ে পড়েছেন।
শুধু ইসরাত তামান্না নন, বছরে প্রথম তরমুজ কিনবেন এমন উৎসাহ নিয়ে এসেছিলেন রাকিব। অনেকক্ষণ বেশ কয়েকটি দোকান ঘুরে একটিও কিনতে পারেননি।
আক্ষেপের সঙ্গে তিনি বলেন, আগে ইলিশ মাছ কিনতে হলে ঘুষের টাকার দরকার ছিল। এখন দেখেছি তরমুজ কিনতে হলেও ঘুষের টাকা লাগবে।
এই ক্রেতা আরও বলেন, কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করা ক্রেতা ঠকানোর একটি কৌশল। ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করে সহজে বেশি টাকা আয় করতেই এমন ফাঁদ পাতেন বিক্রেতারা।
ক্রেতাদের এমন অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া গেল। চৌমাথা বাজারেই কেজি দরে বিক্রি করছিলেন শাহাদাৎ হোসেন। ক্যামেরায় তিনি অস্বীকার করে বলেন, অনেকে কেজি দরে বিক্রি করলেও আমি পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি করি।
তার এই কথাকে ক্রেতা ইসরাত তামান্না চ্যালেঞ্চ করলে পরক্ষণেই স্বীকার করেন, ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করছেন তিনি।
শাহাদাৎ বলেন, কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করা প্রতারণা। আমরা শতক হিসেবে আড়ত থেকে কিনে এনে কেজি দরে বিক্রি করছি বেশি টাকা আয়ের জন্য।