বরিশাল নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ড দরগাহ বাড়ির পোল এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে দুলাল সিকদার (৫৫) নিহত হওয়ার ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতেই ৩০ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী। এর মধ্যে ২২ জন নামধারী ও ৭/৮ জনকে অজ্ঞাত নামা আসমি করা হয়। হত্যা ঘটনার পর পরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে আটক করেছিলো। গতকাল আটক ৩ জনকে আদালতে প্রেরন করলে মেট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেট আদালাতের বিচারক আনিসুর রহমান তাদেরকে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন।

সূত্রে জানাগেছে, বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে বরিশাল নগরীর সাগরদী দরগাহ বাড়ি এলাকায় দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে দুলাল সিকদার মারা যায়। নিহত বৃদ্ধ দুলাল সিকদার ওই এলাকারই বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে- সংঘর্ষের ঘটনায় আহত লাবু হাওলাদারের ভাগিনা সাব্বির বাসার সামনে রোডে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল। ওই সময় তাকে গতি কমিয়ে চালানোর পরামর্শ দেয় নিহত দুলাল সিকদারের ছেলে রাকিব। এনিয়ে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা থেকে মারামারি হয়। এই বিষয়টি শুনতে পেয়ে আ’লীগ নেতা লাবু হাওলাদার সেখানে ছুটে গেলে প্রতিপক্ষরা তাকে কুপিয়ে জখম করে।

তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে শেবাচিমে প্রেরণের পরে দুটি গ্রুপে ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে লাবুর স্বজনেরা দুলাল সিকদারকে মারধর করলে তিনিসহ তার স্ত্রীও অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে তাদরে উদ্ধার করে শেবাচিমে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক পরীক্ষা করে দুলালকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোশারেফ হোসেনসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছিলেন। ঘটনার রাতেই ৩ জনকে আটক করেছিলো পুলিশ। আটককৃতরা হলো- মামলার ১৭ নম্বর আসামি বাচ্চু, ২২ নম্বর আসামি এনায়েত ও ১০ নম্বর আসামি টিটু। বৃহস্পতিবার তাদেরকে আদালতে প্রেরন করলে আদালত জেল-হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।