বরিশাল নগরীতে বিএনপির কতিপয় সন্ত্রাসী কর্তৃক ২ নং ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর খান’র হাতের রগ কর্তন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৩০ এপ্রিল সোমবার রাত ১১ টার দিকে নগরীর কাউনিয়া বিসিক রোড এলাকার আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে যুবলীগ নেতার নিজ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান আলিফ টেলিকমে এ ঘটনা ঘটে। বিএনপি সন্ত্রাসীদের হমালায় যুবলীগ নেতার ডান হাতের রগ কেটে যায়। এ ঘটনায় কাউনিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানাগেছে। মামলায় ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ সাইদুল হাসান মামুনকেও আসামী করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, গত ৩০ এপ্রিল সোমবার যুবলীগ নেতার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ঢুকে কতিপয় বিএনপি নামধারী নেতাকর্মীরা আলমগীর খানকে এলোপাথারী কুপিয়ে চলে যায়। তার ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা ও কাউনিয়া থানার টহলরত পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত হলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিএনপি সন্ত্রসীদের হামলায় গুরুতর আহত যুবলীগ নেতা আলমগীর খান জানান, প্রতিদিনের মত দোকান বন্ধ করে বাসায় যাওয়ার প্রস্তুতিকালে হঠাত স্থানীয় বিএনপির সন্ত্রাসী কোটন (৪২), মন্টু (৩৮), ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মামুন ও কোটনের বাবা দোকানে ঢুকে এলোপাথারি কুপিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা ও টহলরত পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। কেন তার উপর হামলা চালনো হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দীর্ঘ দিন যাবত কোটন ও তার সাঙ্গ পাঙ্গরা ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে আসছিল। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমার উপর হমলা করে। এসময় তার দোকান থেকে ৩৯ হাজার টাকা নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পূর্বেও তাকে মারধর করলে থানায় অভিযোগও দেয়া হয়েছিল বলে জানান তিনি। তিনি আরও জানান, তার উপর হামলার সময় ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মামুনও উপস্থিত ছিলো। কিন্তু তিনি আমার উপর হামলার ঘটনা দেখেও থামানোর চেষ্টা করেননি। তিনি ধারণা করেন কাউন্সিলর মামুনও হামলার সাথে জড়িত রয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা কোটনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন আর এসব করার বয়স নেই। ঘটনার দিন তিনি আগৈলঝাড়া ছিলেন বলেও জানান তিনি। তবে তিনি বলেন, আলঙ্গীরের সাথে তার সাথে বিরোধ থাকায় পূর্বে তাকে মারধরের বিষয়টি স্বীকার করেন তিনি। বিএনপির রাজনীতির সাথে তিনি জড়িত রয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত বলে স্বীকার করেন।
ঘটনার বিষয়ে কাউনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল ইসলাম পিপিএম জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের কর হয়েছে। মামলায় কাউন্সিলর মামুন, কোটন ও কোটনের বাবাকে আসামি করা হয়েছে। তদন্ত করে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।