বরিশাল নগরীতে গৃহবধূ নিখোঁজ : থানায় ডায়েরি

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

বরিশাল নগরীর চাঁদমারী এলাকা থেকে গৃহবধূর নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন নিখোঁজের পরিবার।

সাধারণ ডায়েরিতে নিখোঁজ গৃহবধূর ছেলে সাব্বির হাওলাদার উল্লেখ করেন, আমি ১০ নং ওয়ার্ডের চাঁদমারী এলাকার টিঅ্যান্ডটি গেট সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা মো. আলম হাওলাদারের ছেলে। নগরীর বাংলাবাজার এলাকায় গোস্ত বেচাকেনার আমাদের নিজস্ব দোকান রয়েছে। আমার মাতা হাসিনা বেগম পেশায় গৃহিণী। শনিবার ২৪ অক্টোবর আমি এবং আমার বাবা দোকানে কর্মব্যস্ত ছিলাম। বাসায় ছিলেন আমার মা হাসিনা বেগম। বেলা ১২ টার দিকে মায়ের সাথে আমার সর্বশেষ কথা হয়।

বেলা ৩ টার দিকে আমি এবং আমার বাবা বাসায় ফিরে দরজা খোলা দেখতে পাই। পরবর্তীতে ভেতরে প্রবেশ করে মা-কে ঘরে অনুপস্থিত পাই। এসময় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি খাটের উপর পড়েছিল।

সম্ভাব্য সব জায়গায় অনেক খোঁজাখুঁজির পরও সন্ধান মেলেনি আমার মা হাসিনা বেগমের।

এরই ধারাবাহিকতায় কোতয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলে জানিয়েছেন নিখোঁজ গৃহবধূর ছেলে সাব্বির হাওলাদার।
হাসিনা বেগমের নিখোঁজের সময় ঘরে ব্যবসার জন্য রাখা বেশ কিছু টাকাও পাওয়া যাচ্ছে না বলে সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রসংগত, নিখোঁজ হাসিনা বেগমের গায়ের রং শ্যামলা,উচ্চতা ৫ ফুট, মুখ মণ্ডল গোলাকার। নিখোঁজের সময় তার পরনে ছিল ছাপার সেলোয়ার কামিজ।

প্রচ্ছদবিনোদন এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
কমলাপুর রেলস্টেশনের ঘাস নিয়ে লাইভ করার পর এবার ট্রেনে ওঠার সময় নারী ও বৃদ্ধাদের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফের ফেসবুক লাইভ করলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী ও বাচ্চাদের নিয়ে যারা রেলে চলাফেরা করেন তাদের প্রতি কি একটু সহায় হবেন- এমন আহ্বান জানান তিনি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেউ যদি বউ-বাচ্চা, বৃদ্ধা মা-বাবাকে নিয়ে ট্রেনে উঠতে চান তা হলে বউ থাকবে কই আর মা-বাবা থাকবে কই। শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ফেসবুকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার সুমন। লাইভে এসে প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনে ওঠার সিঁড়ির দূরত্ব দেখিয়ে সুমন বলেন, ‘এই ট্রেনটাকে মিটার গেজ (পরে সংশোধন করে বলেন ব্রডগেজ) বলা হয়। আমার প্রশ্ন হলো-প্ল্যাটফ্রম থেকে দূরত্ব বা উচ্চতা কত? ব্রিটিশ আমলের ট্রেনগুলো ছিল এমন। আপনারা (রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ) নতুন ট্রেন আনলেন কিন্তু প্ল্যাটফর্ম এখনো পুরনো।’ রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত লোকদের দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘দেখেন সবাই, প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনের উচ্চতা দোতলার সমান। কোনো স্টেশনে ট্রেনটি তিন মিনিট থামে। তিন মিনিটে ৫০ জন মানুষ প্রায় দুই তলার সমান উচ্চতায় ওঠা কি সম্ভব?’ রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলমন্ত্রী, ট্রেন আপনি অনেক উঁচু বানিয়ে দিছেন। আর প্ল্যাটফর্ম এখানে বিট্রিশ আমলের। আমি কমলাপুর সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে বলছি। আর গ্রামের স্টেশনগুলোর অবস্থা তো আরও খারাপ। সেখানে ট্রেনে উঠতে তো রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। বউ বাচ্চা নিয়ে ওঠা একটা বে-ইজ্জতের কারবার।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুনিয়া এগোচ্ছে, সব কিছু এগোচ্ছে। রাতারাতি পরিবর্তন করতে পারবেন না। তবে ব্রেইনে আনেন পরিবর্তন করার। আপনারা বউ-বাচ্চা লইয়া ট্রেনে যাতায়াত করবেন কি-না জানি না। তবে, এই প্ল্যাটফর্ম ট্রেনের সমান করতে কোটি কোটি টাকার দরকার পড়বে না। আশা করি রেলমন্ত্রীসহ সকলেই এর প্রতি সদয় হবেন।’ এর আগে (৩০ মে) ব্যারিস্টার সুমন স্টেশনের সামনে রেললাইনের ওপর বেড়ে ওঠা ঘাস কেটে পরিচ্ছন্ন করার অনুরোধ জানিয়ে তার নিজের ফেসবুক পেজে লাইভ দেন। এর পরদিনই (শুক্রবার) সেসব ঘাস কেটে পরিষ্কার করে ফেলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পরিবারকে গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর জন্য ট্রেনে তুলে দিতে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সেখানে তিনি দেখেন, রেললাইনের ওপর বড় বড় ঘাস জন্মেছে। যা কাটার জন্য কারো সময় নেই। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলের সময় নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। মোটামুটি ভালোই চলতেছে। এজন্য রেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।’ ওই লাইভে তিনি আরও বলেন, এটা দেশের সবচেয়ে বড় রেলস্টেশন। এটা কেন্দ্রীয় রেল স্টেশন। এ সময় তিনি এক হাত লম্বা লম্বা ঘাস দেখিয়ে বলেন, ‘কিছু লোক লাগিয়ে ঘাসগুলো পরিষ্কার করলে স্টেশনটা অনেক সুন্দর হয়ে যেত।’
৬ years ago