বরিশাল নগরী বাঘিয়া সড়কে গৃহকর্মীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় তিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত পৌনে ১২ টায় বাঘিয়া সড়কের একটি বাসা থেকে তাদের প্রেফতার করা হয়।
গত ১ বছর পূর্বে ভিকটিম মোসাঃ রুবি(১৪), পিতা-মৃত মজলু বেপারী, মাতা-মোসাঃ নেহারু, সাং-রামপট্টি, রামপট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনে, থানা-এয়ারপোর্ট, বিএমপি, বরিশাল এর চাচা মোঃ বজলু এর নিকট হইতে গৃহ পরিচারিকার কাজে ভিকটিম মোসাঃ রুবি(১৪)’কে মোঃ মজিবর রহমান হাওলাদার(৪৫), পিতা-মৃত সফিজ উদ্দিন হাওলাদার ও মোসাঃ সায়লা রহমান (৩০), স্বামী-মোঃ মজিবর রহমান হাওলাদার, উভয় সাং-বাঘিয়া, ২৯নং ওয়ার্ড, লুৎফর রহমান সড়ক, থানা-এয়ারপোর্ট, বিএমপি,বরিশাল দ্বয় গৃহে নিয়া আসে। উক্ত সময় হইতে ভিকটিম সংসারের গৃহ পরিচারিকার কাজকর্ম করিয়া আসিতেছিল। ধারাবাহিক ভাবে কাজ করার মধ্যে কোন ত্রুটি হইলে মজিবর ও মোসাঃ সায়লা রহমান প্রায় সময়ই ভিকটিম মোসাঃ রুবি(১৪)’কে মারধর করিয়া জখম করিত।
ভিকটিম মোসাঃ রুবি (১৪) কোন কাজে ভুল করিলে সায়লা গরম খুন্তি দিয়া পিটাইয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। মজিবর ও মোসাঃ সায়লা রহমান ভিকটিম মোসাঃ রুবি (১৪)কে চাহিদা মত খাবার না দিয়া বিভিন্ন ভাবে শারীরিক নির্যাতন করিয়া আসিতেছিল। মোঃ মজিবর রহমান হাওলাদার ইহার পূর্বেও গরম আয়রন(ইস্ত্রী) দিয়া ভিকটিমের বাম গালে চাপিয়া ধরে। তাহাতে ভিকটিমের গালের চামড়া পুড়িয়া যায়। মোঃ মাসুম বাড়ীর মালিক মোঃ মজিবর রহমান হাওলাদার এর দোকানের কর্মচারী। গত ইং-২৬/০১/২০১৯খ্রিঃ দুপুর অনুমান ১৩:০০ ঘটিকার সময় মজিবর ও মোসাঃ সায়লা রহমান বাসায় না থাকার সুযোগে মোঃ মাসুম, পিতা-রফিকুল ইসলাম, সাং-রসুলপুর, থানা-শশীভুষন, জেলা-ভোলা, বর্তমান সাং-বাঘিয়া, ২৯নং ওয়ার্ড, লুৎফর রহমান সড়ক, থানা-এয়ারপোর্ট, বিএমপি, বরিশাল ভিকটিম মোসাঃ রুবির ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। এর পূর্বেও মোঃ মাসুম, ভিকটিম মোসাঃ রুবির ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাহাকে ধর্ষন করিয়াছে। পরবর্তীতে মজিবর ও মোসাঃ সায়লা রহমান বাসায় আসিলে ভিকটিম মোসাঃ রুবি দোকান কর্মচারী মোঃ মাসুম এর বিরুদ্ধে নালিশ করিলে কর্মচারী মোঃ মাসুম এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়া ভিকটিমকে মারধর করিয়া উক্ত ধর্ষণের ঘটনা বাহিরের লোকজনদের কাছে বলিতে নিষেধ করে। অতঃপর ইং-১২/০২/২০১৯ তারিখ দুপুর অনুমান ০১:৩০ ঘটিকার সময় ১নং ও ২নং বিবাদীদ্বয় ভিকটিমের কাজে ভুল ধরিয়া লাঠি দিয়া পিটাইয়া, চর থাপ্পর মারিয়া সমস্ত শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করে।
বিষয়টি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানিতে পরিয়া আমি নিজে সংগীয় এসআই/অরবিন্দ বিশ্বাস, মোঃ ফিরোজ আলম মুন্সী, এএসআই/মোঃ আঃ রাজ্জাক, নারী কনস্টেবল/৮১৭ মোসাঃ শিল্পী বেগম, সব© এয়ারপোর্ট থানা বিএমপি, বরিশালদের সহায়তায় আসামী মোঃ মাসুম, মোঃ মজিবর রহমান হাওলাদার,মোসাঃ সায়লা রহমানদের গ্রেফতার করি এবং তাহাদের হেফাজত হইতে ভিকটিম মোসাঃ রুবি(১৪)’কে উদ্ধার করি।
এ সংক্রান্তে এয়ারপোর্ট থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হইয়াছে যাহার মামলা নং- ১৩।