চৈত্র মাস। প্রখর রোদ। অসহনীয় গরম। খরতাপে হাঁফিয়ে উঠছে সবাই। ক্লান্তি যেন চেপে বসেছে। দিন দিন বরিশাল নগরীতে বাড়ছে ডাবের পানির কদর। পথে-ঘাটে পিপাসা নিবারণের জন্য সচেতন মানুষ বেছে নিচ্ছেন ডাবের পানি।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল নগরীর হাতেম আলি চৌমাথা সামনে দেখা মেলে দুটি ভ্রাম্যমাণ ডাব দোকানের। একটু সামনে যেতেই দেখা যায় আরো দুটি ডাব বোঝাই ভ্যান।
ডাবওয়ালা কচি ডাব কাটছেন, পাশে দাঁড়িয়ে তৃষ্ণা মেটাচ্ছেন পথচারীরা। আবার কেউ বাড়ির জন্য কিনে নিচ্ছেন। গরমে মৌসুমী ডাব বিক্রেতার সংখ্যাও বেড়ে যায়। নগরীতে প্রায় শতাধিক ভ্রাম্যমাণ ডাবের দোকান রয়েছে। বিক্রেতারা ভ্যান কিংবা রিকশা করে অলিতে-গলিতে ডাব বিক্রি করে থাকেন। এছাড়াও নগরীর আবাসিক এলাকায়
ভ্রাম্যমাণ ভাবের দোকানের দেখা মেলে। এ মৌসুমে সদর উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারেও ডাব বিক্রি চলছে দেদারছে।
ডাব বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা ৪০/৪৫ টাকা করে ডাব কিনে শহরে এনে প্রতি পিস ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি করেন। এতে তাদের ভালো লাভ হয়।
বিএম কলেজের সম্মান ২য় বর্ষের ছাত্র আরিফুর রহমান বলেন, পিপাসা মেটাতে ডাবের পানির বিকল্প নেই। তাইতো ডাবের এতো কদর। আমি ও আমার বন্ধুরা বাজারের কেমিকেলে ভরা বোতলের কোমল পানি পান করি না, গরমে ডাবের পানি পান করি।
রাফসান হাসান নামে ওই কলেজের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, বাজারে কোমল পানীয়ের চেয়ে প্রাকৃতিক ডাবের পানি নিরাপদ। এটি শরীরের জন্য উপকারী। ডাবের পানি ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করে। পানি শূন্যতা পূরণ করে। শরীর ও মনকে সুস্থ রাখে।