বরিশাল নগরীর পূর্ব রূপাতলী শের-ই-বাংলা সড়ক এলাকায় আঃ জলিল হাওলাদারের বসতঘরে অভিনব কায়দায় ৮ লাখ টাকা ও বিপুল পরিমান স্বর্ণালংকার চুরির অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সন্দেহভাজন ৪ আসামীর নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাত নামা কয়েকজনের বিরূদ্ধে এই মামলা চীফ মেট্রোপলিটন মেজিষ্ট্রেট আদালত আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) কে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ মে রাত ২ টার দিকে এই ঘটনা । আগেই কোন ব্যক্তি গোপনে ঘরের মাচার উপরে অথবা খাটের নিচে লুকিয়ে ছিল। রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে সবাইকে চেতনা নাশক স্প্রে দিয়ে বেহুশ করা হয়। এরপর বীরদর্পে তারা ঘরের বেশ ২টি ড্রয়ার থেকে প্রায় ২১ ভরি স্বর্ণ এবং একটি ড্রয়ারে থাকা ঐ দিনই ব্যাংক থেকে উত্তোলনকৃত নগদ ৮ লাখা টাকা নিয়ে দরজা খুলে চলে যায়। রাত তিনটার দিকে টের পেয়ে দেখে যে ঘরের দরজা খোলা। এরপর ডাকচিৎকার দিলে এলাকাবাসী ছুটে এসে কোতয়ালী থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে সব কিছু দেখে অবশেষে রহস্যজনক কারনে তারা এড়িয়ে যান।
কোতয়ালী থানায় বার বার যোগাযোগ করা হলেও তারা কোন ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগে বলা হয়। অবশেষে ঘটনার প্রায় ২ মাসের মাথায় সন্দেহভাজন আসামীদের নাম উল্লেখ করে এই মামলা দায়ের হলো। মামলার এজাহারে আরো বলা হয় ঘটনার প্রথম দিকে তেমন কাউকে সন্দেহ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এই দুর্ধর্ষ চুরির পর থেকে পাশর্^বর্তি বাসিন্দা লিটন (৩৫), আসমা বেগম (৩০), সাগর (২৬) এবং শান্ত (২৪) এর গোপন আলাপচারিতা বাড়ির মানুষ টের পায়। এটা জানতে পারার পর থেকে এসব আসামীরা পলাতক রয়েছে। বাদী মাইনুল ইসলাম স্বজল এবং বাড়ির অন্যান্যরা দৃঢ়ভাবে মনে করেন যে, এসব আসামীদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সঠিক তথ্য বেড়িয়ে আসবে। এদিকে নগরীর প্রাণ কেন্দ্রে এমন লোমহর্ষক চুরির ঘটনা পিবিআই এর তদন্তের মাধ্যমে খুব দ্রুত প্রকৃত দোষীরা আইনের আওতায় আসবে এবং চোরাইকৃত অর্থ ও মালামাল অক্ষত উদ্ধার হবে এমন প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।