বরিশাল থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টায় ঢাকায়, উচ্ছ্বসিত যাত্রী-চালকরা

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

বরিশাল নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে বেলা সোয়া ১১টার দিকে রওনা হয়ে বেলা ৩টায় ঢাকার যাত্রাবাড়ি পৌছে যায় সাকুরা পরিবহনের বাসটি। সাড়ে তিন ঘণ্টার কিছু বেশি সময়ে ঢাকায় পৌঁছাতে পেরে উচ্ছ্বসিত যাত্রী-চালকরা।

পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে বরিশালে পৌঁছানো প্রথম বাসটি সাকুরা পরিবহনের ‘ঢাকা মেট্রো ব ১৪-৯৪৮১’। বাসটির সুপারভাইজার মো. নাসির উদ্দিন বলেন, রোববার ভোর ৫টায় যাত্রাবাড়ি থেকে যাত্রা শুরু করে সোয়া ৫ ঘণ্টায় বরিশালে পৌছান। ‘

তার মধ্যে সেতুর টোল প্লাজায় জটে আটকে ছিলেন ২ ঘণ্টা। আবার বরিশাল নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পৌনে ১১টায় যাত্রা করে সোয়া ৩ ঘণ্টায় বেলা ৩টায় পৌছান যাত্রাবাড়িতে।

জানা গেছে, রোববার ভোরে ঢাকার গুলিস্তান বা যাত্রাবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা বাসগুলো পদ্মা সেতুর টোল প্লাজায় জটে আটকে যায়। নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছাতে তাই ১ থেকে ২ ঘণ্টা সময় বেশি লাগে।

 

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে টোল প্লাজার যানজটও কমতে শুরু করে। নাথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে বরিশাল-ঢাকা রুটের একাধিক পরিবহনের কাউন্টার ইনচার্জ জানিয়েছেন, অন্য দিনগুলোর চেয়ে রোববার যাত্রীদের চাপ ছিল অনেক বেশি। ঢাকায় আসা-যাওয়া সবগুলো বাস যাত্রীতে পূর্ণ ছিল।

 

সাকুরা পরিবহনের সুপারভাইজার মো. নাসির উদ্দিন বলেন, টোল প্লাজায় ২ ঘন্টা অপেক্ষার ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতু পাড়ি দেন মাত্র ৯ মিনিটে। যাত্রীদের সেতু দেখার আগ্রহে বাসের গতিও কম ছিল।

 

ইলিশ পরিবহনের একটি বাস সকাল পৌনে ৮টায় ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে ছেড়ে বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে পৌঁছায় সোয়া ১২টায়। চালক মোকলেসুর রহমান জানালেন, যাত্রীদের অনুরোধে বাসের গতি কমিয়ে দেয়ায় ইলিশ পরিবহন সেতু পাড়ি দিয়েছে ১৩ মিনিটে।

 

বিআরটিসির বরিশাল ডিপো ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, তাদের বরিশাল-মাওয়া রুট বন্ধ করে দিয়ে ওই বাসগুলো রোববার থেকে ঢাকার গুলিস্তান পর্যন্ত যাচ্ছে যাত্রী নিয়ে। এ রুটে এখন বাসের সংখ্যা ১৪টি। তার মধ্যে দুটি বরিশালে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে কুয়াকাটা পর্যন্ত যাবে।

 

জাহাঙ্গীর আলম জানালেন, রোববার সকাল ৬টায় তাদের প্রথম পরিবহন ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। ৫১ সিটের সবগুলো টিকেট বিক্রি হয়ে যায়।

 

রোববার বেলা ১২টায় বিআরটিসির ডিপোতে গুলিস্তান রুটের টিকেট কাউন্টার যাত্রীদের দীর্ঘলাইন দেখা গেছে; যা বছরের দুটি ঈদ উৎসব ছাড়া অন্য সময় হত না।