বরিশাল থেকে অভ্যন্তরীন সকল রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ-যাত্রীদের চরম দূর্ভোগ

:
: ৪ years ago

শামীম আহমেদ॥ করোনা ভাইরাজ আতঙ্ক সর্ব যাত্রী সাধারনের করোনা ঝুকি থেকে মুক্ত ও নিরাপদ রাখার স্বার্থে সকল ধরনের বরিশাল েেথকে দক্ষিণাঞ্চলের ভোলা,পাতারহাট লক্ষিপুরের মজু চৌধুরীর হাট সহ অভ্যন্তরীন ২৮ রুটের যাত্রীবাহী লঞ্চ ও দুরপাল্লার ঢাকাগামী লঞ্চগুলো বরিশাল নৌ-বন্দর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত চলাচল আর্কষিকভাবে বন্ধ করে দেয়ার ফলে অভ্যন্তরীন রুটের মহিলা-পুরুষ ও শিশু যাত্রীদের চরম দূর্ভোগের ভিতর পড়তে হয়েছে।

 

লঞ্চ চলাচল বন্দের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বরিশাল নৌ-বন্দর উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার।

আজ মঙ্গলবার (২৪ই) মার্চ বেলা ১২টার দিকে বরিশাল নৌ-বন্দর টারমিনাল থেকে ভোলা,পাতারহাট, সহ বিভিন্ন অভ্যন্তরীন রুটের যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো যাত্রী নিয়ে ছাড়ার পূর্বে আর্কষিকভাবে নৌ-বন্দর কর্তৃপক্ষ লঞ্চ থেকে যাত্রী নামিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়া সহ পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত ঢাকা-বরিশাল সহ অভ্যন্তরীন দক্ষিণাঞ্চলের ২৮টি রুটের সকল প্রকার যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করেন বরিশাল নদী-বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এসময় নদী-বন্দর ঘাটে অবস্থানকালে দেখা যায় বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বরিশাল হয়ে যাত্রীরা ভোলা-পাতারহাট, সহ বিভিন্ন নদী পথের মহিলা-পুরুষ ও শিশু যাত্রীদের নিয়ে ঘাটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষনার কথা শুনে অনেকেই হতবাক ও দিশেহারা হয়ে পরেন মহিলা ও শিশু যাত্রীদের নিয়ে।

 

বেলা সাড়ে ১২টার দিকে যাত্রী নিয়ে ভোলাগামী সঞ্চিতা নামের লঞ্চ থেকে সকল যাত্রীদের নামিয়ে দিলে সেসকল যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে লঞ্চের স্টাপরা সেসকল যাত্রীদের শান্তনা দেবার চেষ্ঠা করেন।

এক প্রর্যায়ে যাত্রীরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন লঞ্চ চলাচল বন্ধের বিষয়টি পূর্ব থেকে প্রচার করা হলে আজ এত ভোগান্তি পড়তে হত না।

 

অপরদিকে প্রতিমা রানী নামের এক মহিলা ও তার শিশু সন্তানদের নিয়ে বরিশালের ভাটাজোড় থেকে এসেছে যাবেন পাতারহাট। তিনি একমাত্র নদী পথ ছাড়া বিকল্প পথে যাবার অভিজ্ঞতা না থাকার কারনে তিনি দিশে হারা টারমিনালে বসে হতাশ হয়ে পড়তে দেখা যায়।

 

এসময় অনেক যাত্রীরা বলেন তাদের বাড়িতে ফেরার জন্য একমাত্র এই নদী পথে লঞ্চ যোগে চলাচল করতে হয় বিকল্প চলতে গিয়ে তাদের বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয় বলে এধরনের সমস্যার কথা বলেন কয়েকজন পুরুষ যাত্রী।

অন্যদিকে মহিলা যাত্রীরা বেশী হতাশ হয়ে পড়েন তাদের সাথে কোন পুরুষ গার্জিয়ান না থাকার কারনে তারা পড়েছেন আরো বেশী বিপাকে।

 

এছাড়া বন্দর কর্তৃপক্ষ জানান রাতে বরিশাল থেকে ঢাকাগামী কোন লঞ্চ বরিশাল নদী-বন্দর থেকে ছেড়ে যেতে পারবে না নতুন নির্দেশ না আসা পর্যন্ত।