ঢাকা থেকে বরিশালসহ পুরো দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের বাড়ি ফেরার জন্য ঈদের আগে ৩০ মে থেকে বিশেষ সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও লঞ্চ মালিকদের সংগঠন। এদিকে লঞ্চ কেবিনের আগাম টিকিট বিক্রির বিষয়ে ১৮ মে এক সভায় সিদ্ধান্ত নেবেন লঞ্চ মালিকরা।
ঢাকা নদী বন্দরের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক আলমগীর কবীর ঈদের এই প্রস্তুতির বিষয়টি জানিয়ে আজ বুধবার সকালে বাসস’কে বলেন, ‘ঈদে ঘরমুখো মানুষকে স্বাচ্ছন্দে গন্তেব্যে পৌঁছানোর লক্ষে আমরা ৩০ মে থেকে পুরোপুরি প্রস্তুত থাকবো। ৩০ মে বৃহস্পতিবার অফিস করে অনেকইে পরিবার পরিজন নিয়ে নাড়ির টানে বাড়ী যেতে পারেন। লঞ্চ মালিকরা যখনই আমাদের সহযোগিতা চাইবেন তখনই আমরা বিশেষ সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছি।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার সচিব মো. সিদ্দিকুর রহমান পাটওয়ারী দুপুরে বলেন, আগামী ১৮ মে বেসরকারি লঞ্চ মালিকদের নিয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। এই সভায় ঢাকা-বরিশাল রুটসহ দক্ষিণাঞ্চলে যাত্রী পরিবহনের জন্য লঞ্চ কেবিনের আগাম টিকিট বিক্রির তারিখ নির্ধারণ করবেন মালিকরা।
তিনি আরও বলেন, এবার ঈদে ঢাকা থেকে বরিশালসহ পুরো দক্ষিণাঞ্চলে মোট ২২০টি লঞ্চ ও ৬টি স্টিমার অবিরামভাবে যাত্রী পরিবহন করবে। বরিশাল রুটে এখন দিনে একটি লঞ্চ চলে। কিন্তু ঈদ উপলক্ষে বরিশাল রুটে দিনে তিনটি লঞ্চ এবং রাতে ২১টি লঞ্চ যাবে। বরিশালের উদ্দেশ্যে দিনের লঞ্চগুলো সকাল ৮টা, সাড়ে ৮টা ও বেলা আড়াইটায় ঢাকা ছেড়ে যাবে। এছাড়া যাত্রী সাদারণের সুবিধার জন্য ঢাকা থেকে চাঁদপুর, শরীয়তপুর ও ডামুড্যা রুটে ঈদ উপলক্ষে মোট ২৬টি লঞ্চ দিন-রাত চলাচল করবে।
লঞ্চ মালিকরা জানিয়েছেন, আগাম টিকিট বিক্রির তারিখ নির্ধারণের পর লঞ্চ কর্তৃপক্ষ অনলাইনে এবং ‘আগে এলে আগে পাবেন’ ভিত্তিতে টিকিট বিক্রি শুরু করবে। দীর্ঘ সরকারি ছুটি থাকায় যাত্রীর চাপ বেশি থাকার সম্ভাবনা আছে। তাই ডকে উঠিয়ে রাখা লঞ্চগুলোকেও প্রস্তুত করা হচ্ছে। এদিকে গত ৩০ এপ্রিল বিআইডব্লিউটিএ ভবনে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে লঞ্চ, ফেরি ও অন্যান্য জলযান সুষ্ঠুভাবে চলাচল, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ বিষয়ক এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ি, ঘরমুখো মানুষের নির্বিঘ্নে যাতায়াতের লক্ষ্যে ঈদের আগে ও পরের ৩দিন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ব্যতীত সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ থাকবে। এ সময় লঞ্চের স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিতকল্পে নৌপথে সব মাছ ধরার জাল পাতা বন্ধ রাখা হবে। রাতের বেলায় সব ধরনের মালবাহী জাহাজ, বালুবাহী বাল্কহেড এসময় চলাচল বন্ধ রাখা হবে। ১ জুন থেকে ৮ জুন পর্যন্ত দিনের বেলায়ও সব বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখা হবে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফেরী ও লঞ্চঘাটগুলোতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই নিয়ন্ত্রণের জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। বাসস।