বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের ফোর লেন দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি

লেখক:
প্রকাশ: ১ বছর আগে

পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে তিন গুণ। তবে রাস্তা প্রশস্ত হয়নি। বেড়েছে যানজটের পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনাও। পরিস্থিতি সামাল দিতে বরিশাল মহানগরীর প্রবেশমুখে ১৩ কিলোমিটার মহাসড়ক প্রশস্তে কাজ শুরু হয়েছে। কেটে ফেলা হচ্ছে শতবর্ষী ৪০২টি গাছ। মহাসড়কের পাশে নতুন গাছ লাগানোর পাশাপাশি ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক ফোর লেন করার দাবি বরিশালবাসীর।

গাছকাটা ঠিকাদার ইমরান বলেন, ‘আমরা দ্রুত কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি। মোট তিনজন ঠিকাদার গাছ কাটার কাজটি পেয়েছি। আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে গাছ কাটার কাজটি সম্পন্ন হবে আশা করি। তারপর শুরু হবে রাস্তার কাজ।’

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) বিভাগীয় সমন্বয়ক লিঙ্কন বাইন বলেন, ‘রাস্তা প্রশস্তে গাছ কাটা হচ্ছে ঠিক আছে, তবে নতুন রাস্তার দুপাশে গাছ লাগানোর দাবি জানাই।’

এ বিষয়ে বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মিন্টু রঞ্জন দেবনাথ বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যান চলাচলের চাপ বেড়েছে তিন গুণ। তবে রাস্তা প্রশস্ত হয়নি। এতে ভোগান্তি বেড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে মহানগরীর প্রবেশমুখে গড়িয়ার পাড় থেকে দপদপিয়া সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার মহাসড়ক প্রশস্তে কাজ শুরু করেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে বলেন, ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর বরিশালের রাস্তায় গাড়ির চাপ বেড়েছে। সড়ক ও জনপথ রাস্তা প্রশস্তের উদ্যোগ নিয়েছে এটা ভালো। কিছুটা হলেও দুর্ভোগ কমবে পরিবহনগুলোর। তবে দ্রুত ফোর লেনের কাজ শুরুর দাবি জানাচ্ছি।’

এদিকে প্রকল্প হাতে নিলেও নানা জটিলতায় আটকে আছে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের ফোর লেনের কাজ। তবে ৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে রোড মেজর মেনইটেন্যান্স প্রোগ্রাম নামের এ প্রকল্পের মাধ্যমে ২৪ ফুটের সড়কটিকে ৫৪ ফুটে প্রশস্ত করা হচ্ছে।