বরিশাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান’র বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারীতার অভিযোগ

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

বরিশাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মইদুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারীতার অভিযোগ তুলেছেন পরিষদের সদস্যরা। জেলার সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত না করে একক সিদ্ধান্তে কোটি কোটি টাকার প্রকল্প করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

রোববার দুপুরে জেলা পরিষদ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই অভিযোগ তোলেন জেলা পরিষদ সদস্যরা।

তারা অভিযোগ করেছেন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রাজস্বের ১ কোটি ও ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের রাজস্বের ২ কোটি টাকা যা সদস্যদের অগচরে চেয়ারম্যান এককভাবে প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। এই অর্থ আগামী ২০১৯-২০ অর্থ বছরে সদস্যদের মাঝে বন্টনের মাধ্যমে সমন্বয় করতে হবে। পাশাপাশি ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে রিভাইস বাজেটের ৬ লক্ষ টাকার প্রকল্প যে সব সদস্যর থেকে এখনও নেয়া হয়নি, তা গ্রহণ করতে হবে।

জেলা পরিষদ সদস্য ও উজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম জামাল উদ্দিন লিখিত বক্তব্যে এই দাবী তোলেন। এর মধ্যে বরিশাল জেলা পরিষদ সদস্যগনের প্রস্তাবসমূহ পরিষদের ২য় সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক জেলা সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত কল্পে সদস্য প্রতি ৪ ভাগ হারে সকল বরাদ্দের প্রকল্প প্রদান করতে হবে। চেয়ারম্যান ৩ কর্মদিবস অফিসে অনুপস্থিতিতে প্যানেল চেয়ারম্যানকে দায়ত্বি নিয়ে অফিস সচল রাখতে হবে। ৭ কর্মদিবস অনুপস্থিতিতে প্যানেল চেয়ারম্যানকে আর্থিক ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। জেলা পরিষদের নিয়ম বহির্ভূতভাবে মার্কেটের লীজ দেয়া মার্কেটের বাথরুম গুলো পুনরুদ্ধার ও পরিষদের অনুমোদনহীন সকল জমি ও মার্কেটের লীজ বাতিল করতে হবে। জেলা পরিষদের সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির পূর্ণ তালিকার কপি সকল সদস্যদের মাঝে বন্টন করতে হবে।

জেলা পরিষদের ডাক বাংলার অনিয়ম দূর করে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিনত করতে হবে। উন্নয়ন প্রকল্প থেকে ৭ ভাগ হারে ঊৎকোচ গ্রহন ও টেবিলে টেবিলে ঘুষ/বকশিস প্রথা বন্ধ করতে হবে। ঘুষ দুর্নীতি ও বকশিস মুক্ত জেলা পরিষদ ঘোষণা করতে হবে। ২০১৯-২০ সালে রাজস্বের ক্ষতি করে পরিষদের সিদ্ধান্ত ঊপেক্ষা করে চেয়ারম্যানের একক সিদ্ধান্তে মীরগঞ্জ খেয়াঘাটে উদ্ভূত সমস্যার আশু সমাধান ও বেদখল হওয়া মেহেন্দিগঞ্জ খেয়াঘাটি উদ্ধারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

পরিষদে আগত পরিষদ সংক্রান্ত সকল পত্রাদি তৎক্ষনাত সদস্যদের অবহিত করতে একটি কপি সদস্যদের নোটিশ বোর্ডে সাটিয়ে দিতে হবে। চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে সভা শুরু হলে সভা শেষ না হওয়া পর্যন্ত চেয়ারম্যানকে সভা স্থলে উপস্থিত থাকতে হবে। বরিশাল জেলা পরিষদকে গতিশীল করা ও সকল অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধের লক্ষ্যে সদস্যদের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করতে হবে। এ ধরনের ১৮টি দাবী তোলা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য এ্যাড. মাওলাদ হোসেন সানা, মানওয়ারুল ইসলাম অলি, প্রফেসর মো: বারী, উর্মীলা বাড়ৈ, সেলিনা বাদল, মো: পলাশ প্রমুখ। এ ব্যাপারে বরিশাল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঈদুল ইসলামের সাথে বার বার যোগাযোগ করা হলেও এ বিষয়ে তার কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।