বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ১ম সম্মেলনর উদ্ধোধনী র্যালি পূর্বক সমাবেশের প্রধান অতিথি ও কেন্দ্রীয় ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মোঃ গোলাম মোস্তফা বলেছেন, একদিকে স্বৈরাচারী সরকার অন্যদিকে সেন্ডিকেটের যাতা কলে এদেশের সাধারন মানুষ আজ দিশেহারা হয়ে উঠেছে।
সরকার আজ বিচার বিভাগকে নির্বাশিত করে দেয়ার কারনে কার্টুনিস্ট মোসতাক আহমেদেকে জেলে বসে মরতে হয়েছে। অপরদিকে আদালত থেকে নির্দেশ দেয়ার পরও সরকারের মদদদাতা দূর্নীতিবাজ ও টাকা লুন্ঠনকারীরা দেশ থেকে পালিয়ে যাবার সুযোগ পায়। প্রশাসন তাদের খঁজে পায় না। ঠাকুর ঘড়ে কেড়ে আমি কলা খাই না। এই হচ্ছে আমাদের পুলিশ প্রমাসনের কার্যক্রম।
একারনেই আজ আমরা এই সরকারের কাছে কোন কিছুর বিচার চাই না। কেন্দ্রীয় সভপতি গোলাম মোস্তফা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সমলোচনা করে বলেন আমাদের দেশে বিনা বিচারে সিমান্তে প্রতিদিন মানুষ হত্যা করা হচ্ছে তার কোন প্রতিবাদ করতে পারছে না। সরকারের পক্ষ থেকে। তারা কি করে মানুষ হত্যা করার বিচার চাইবে তারা নিজেরাই খুনি মানুষ হত্যা করে অবৈধভাবে জণগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতা দখল করে রেখেছে।
তাই এই স্বৈরচারী সরকারকে গণ আন্দোলনের মাধ্যমে হটানোর জন্য ছাত্র ফেডারেশনের সংগঠনকে আরো রাজ পথে স্বোচ্ছার হওয়ার আহবান জানান।
আজ বুধবার (১০) মার্চ সকাল সাড়ে ১০ টায় শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত ও করোনা ভ্যাকসিন প্রদান করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে, জনহণের আকাঙ্খার অ সাম্প্রদায়িক ও স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশ চাই সহ নয় দফা দাবী আদায়ের লক্ষে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বরিশাল জেলা ছাত্র ফেডারেশনের আহবায়ক নবীন আহমেদের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সদস্য আল-আমিন শেখ,বরিশাল মহানগর ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি ইসরাত জাহান সুরাইয়া,ছাত্র নেতা জামিল আহমেদ,জেলা সদস্য হাসিব আহমেদ, গণ আন্দোলন সংহতির সদস্য আরিফুর রহমান মিরাজ, মোঃ জাবেদ,রাইসুল ইসলাম সাকিব।
সমাবেশ সঞ্চলনা করেন সাকিবুল ইসলাম সাকিব। এর পূর্বে কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ গোলাম মোস্তফা অশি^নী কুমার টাউন হল চত্বরে আয়োজিত সমাবেশ র্যালির জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সমাবেশের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধোধন করেন।
পরে নগরীতে বর্তমান অগণতান্ত্রিক স্বৈরশাষক সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াবার দাবীর শ্লোগান দিয়ে এক র্যালি বেড় করে র্যালি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় টাউন হল চত্বরে এসে শেষ হয়।