বরিশাল-কুয়াকাটা রুটে ‘মায়ের দোয়া’ (বরগুনা ব-১১-০০০৯) যাত্রীবাহি বাস এর বক্স থেকে ড্রাইভার, কন্ট্রাক্টর ও হেলপারের যোগসাজশে ৫ হাজার টাকার মাছ চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিনব এ চুরির ঘটনা প্রকাশ পেলে রূপাতলি বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক সুলতান মাহমুদ শালিসী করে মাছ কিনে দেওয়ার রায় দেন। কিন্তু একদিন পরে সুলতান মাহমুদ জানান, ওরা আমার কথা শোনেনি। মাছ কিনে দেয়নি। এখন আমার কিছু করার নেই। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ঐ বাসটি বরগুনা বাস মালিক সমিতির। তাই এ ব্যাপারে তার কিছু করার নেই বলে জানান তিনি।
ভুক্তভোগী যাত্রী জুনান মাহমুদ জানান, গত মঙ্গলবার ২০ আগস্ট বিকেল ৪ টার কুয়াকাটা থেকে বরিশাল আসার উদ্দশ্যে মায়ের দোয়া নামে (বরগুনা ব-১১-০০০৯) একটি বাসে ওঠেন তিনি। এসময় তার সাথে থাকা মাছ ভর্তি একটি সাদা রঙের বাজারের ব্যাগ হেল্পার জুয়েলর কাছে দেন তিনি। হেল্পার জুয়েল ব্যাগটি বাসের ডান পাশের ডালায় রাখেন। পরবর্তীতে রাত ৮টায় বরিশাল রুপাতলি বাস টার্মিনাল আসার পরে ব্যাগটি বাম পাশের ডালা থেকে বেরকরে হেল্পার। তখন মাছ কম দেখে হেল্পারকে তলব করলে সে বলে, আপনার ব্যাগেটিতে বরপ দেয়া ছিল এখন তা গলে গেছে।
হেল্পারের কথায় সন্দেহ হলে মাছের ব্যাগটি খুলে দেখেন ওই যাত্রী। এসময় ব্যাগে থাকা ১১ পিচ বড় ইলিশ মাছ এবং ছোট একটি ব্যাগে চিংড়ি মাছ না দেখতে পেয়ে হতাশ হয়ে পরেন ওই যাত্রী। মাছ কমের কারন জানতে চাইলে বাসে অন্য কনট্রাক্টর তাকে বলেন আমাদের গাড়িতে অন্য কোন যাত্রী মাছ নিয়ে ওঠে নাই । আপনি যে মাছ পাইছেন তা নিয়ে বাসায় চলে জান। পরে তাকে রুপাতলি বাস টার্মিনাল কাছে রেখে পালিয়ে জান তারা। পরবর্তীতে মাছ চুরির বিষয়টি বরিশাল বাস মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক কাওসার হোসেন শিপনকে জানান ওই যাত্রী। সাধারন সম্পাদক বলেন বাসটি বরগুনা বাস মালিক সমিতির আওতায় তাই আমি কিছু করতে পারবনা না আপনি শ্রমিক ইউনিয়নের সাথে যোগাযোগ করেন। এরপর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাহী সভাপতি রফিকুল ইসলাম মানিকের ফোন নাম্বার দেন।
পরে বিষয়টি মানিককে জানালে তিনিও একি কথা বলেন। কিছুক্ষণ পরে মানিক ফোন করে বাসের ড্রাইভারের সাথে কথা বলে বিষটি মিমাংসা করতে বলেন। এরপর রাত ১২ টার দিকে ওই যাত্রীকে ফোন করে বিষয়টি নিয়ে বসার জন্য ডাকেন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক সুলতান মাহমুদ। তিনি সব শুনে বাসের স্টাপদের ৬টি ইলিশ মাছ কিনে পরের দিন ২১ আগস্ট সন্ধা ৭টায় তার অফিস আসার জন্য বলেন ।
যথা সময়ে মাছ নিয়ে স্টাফরা আসেনি । তখন সুলতান মাহমুদ তার অপরাগতা প্রকাশ করেন। বিষয়টি সম্পর্কে জানার জন্য রূপাতলী বাসমালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক কাওসার হোসেন শিপনকে বার বার ফোন দিলে তিনি সাংবাদিকের নাম্বার দেখে ফোনটি রিসিভ করেননি। সব শেষে ভুক্তভোগী যাত্রী আইনের আশ্রয় নিবেন বলে জানিয়েছেন।