বরিশাল উজিরপুরে মালটা চাষে স্বাবলম্বী শ্যামল ব্যানার্জী

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

বরিশালের উজিরপুরে রাসায়নিক মুক্ত রসালো মালটা চাষে স্বাবলম্বী শ্যামল ব্যানার্জী। উপজেলার দক্ষিণ শিকারপুর গ্রামের সফল কৃষক গুরুদাস ব্যানার্জী ওরফে শ্যামল (৪২) ২০১৭ সালে ৩০ শতক জমির উপরে একটি মালটা বাগান তৈরী করেন। এই বাগানে বর্তমানে বারি মালটা-১ প্রজাতির ৪২টি পূর্ণ বয়স্ক মালটা গাছ রয়েছে।

 

এ বছর ওই বাগান থেকে ৫০ মন মালটা বিক্রির আশা পোষণ করেন কৃষক শ্যামল ব্যানার্জী। রাসায়নিক, কেমিক্যাল ও ফরমালিনমুক্ত রসালো অত্যন্ত সুস্বাদু এই মালটা ইতিমধ্যে বিক্রি শুরু করেছেন তিনি। ২৪ আগষ্ট সোমবার মালটা বিক্রির উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ওই বাগানে উপস্থিত হন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাকির হোসেন তালুকদার, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার হালদার, ওই ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন।

 

আরো উপস্থিত ছিলেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম তোফাজ্জেল হোসেনসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত পাইকার ও খুচরা ক্রেতারা। উদ্বোধনকালে কৃষক শ্যামল ব্যানার্জী জানান, এই মালটা রাসায়নিক, কেমিক্যাল ও ফরমালিনমুক্ত রসালো অত্যন্ত সুস্বাদু হওয়ায় দাম একটু বেশি দিয়েও পাইকার ও খুচরা ক্রেতারা বাগান থেকে ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া ইচলাদী বাসস্টান্ডে নিউ প্রগতি ট্রেডার্সের দোকানে পাইকারী ও খুচরা বিক্রয় করা হয়। পাইকারী ১৩০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। তিনি আরো জানান, ২০১৭ সালে এই মালটা বাগানটি তিনি তৈরী করেন। ২০১৮ সাল থেকে ফল বিক্রি শুরু হয়।

 

এ বছর প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার ফল বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাকির হোসেন তালুকদার জানান, শ্যামল ব্যানার্জী অত্যন্ত সফল কৃষক। তিনি মালটা বাগানের পাশাপাশি আম, নারিকেলসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ বৃক্ষের বাগান তৈরী করেছেন। প্রতিটি বাগানেই তিনি সফল হয়েছেন। উজিরপুরে ইতিমধ্যে শতাধিক মালটা বাগান তৈরী হয়েছে। স্থানীয়দের প্রয়োজন মিটিয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন শহরে বিক্রি হচ্ছে।