বরিশাল আওয়ামী লীগে একক নিয়ন্ত্রন ভাঙ্গতে মুষ্ঠিবদ্ধ হচ্ছেন স্থানীয় রাজনীতিতে ত্যাগী ও পোড় খাওয়া নেতারা।আগামী বছর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সিটি কর্পোরেশন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিপক্ষকে কোনরুপ ছাড় না দেওয়ার সংকল্প থেকে মাঠ গুছাচ্ছেন তারা।এদের মধ্যে ২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকার টিকেট প্রাপ্ত কর্নেল (অব) জাহিদ ফারুক শামীম, ২০১৩ সালের সিটি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে নির্বাচন করা সমাজসেবক মাহমুদুল হক খান মামুন,ও মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব উদ্দিন বীরবিক্রমের নাম উল্লেখযোগ্য।এরা প্রতিনিয়তই একত্রে বিভিন্ন ঘরোয়া বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন।মেয়র অথবা সাংসদ কোনটিতে ছাড় দিতে নারাজ তারা। তাদের দাবী বরিশালে আওয়ামী লীগকে কিছু ব্যাক্তি ক্ষমতার আমলে নানারকম অপকর্ম করে বেড়ায়। তারা দলকে বেচে চলে। আবার দলের দুঃসময়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। এবার তারা চাচ্ছেন ঐক্যবদ্ধ থেকে ঐ সকল দলের নাম ভাঙ্গিয়ে চলা ব্যাক্তিদের প্রতিহত করবেন।
সেক্ষেত্রে মেয়র পদে বিগত সিটি নির্বাচনে দলটির বিদ্রোহী প্রার্থী খান মামুনের নাম আলোচনায়।সেই ১৯৮২ সাল থেকে বিএম কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচন থেকে বিগত সিটি নির্বাচনে দলের কাছে টিকেট চাইলেও স্থানীয় কিছু নেতার বেঈমানীতে দল তাকে নিরাশ করে।তবুও দলের পক্ষেই কাজ করেছেন মামুন। বছর খানেক পূর্বে থেকে বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকার কমিউনিটি পুলিশের সদস্য সচিবের দ্বায়িত্ব নিয়ে বিভিন্ন ওর্য়াডে জঙ্গী ও সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে উপস্থিত থেকে ঐ সকল এলাকার লোকজনের সাথে কুশল বিনিময় করে নিজের অস্থিত্বের জানান দিচ্ছেন দলের নিবেদিত প্রান এ নেতা।এ ছাড়াও মহানগরী এলাকায় বিভিন্ন মসজিদ-মন্দিরের উন্নয়নে সহযোগিতা করে ভুমিকা রেখেছেন তিনি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে মাহমুদুল হক খান মামুন আওয়ামীলীগের একজন নিবেদিতপ্রান কর্মী। পোড় খাওয়া এ নেতার রয়েছে দলের প্রতি ত্যাগের বহু ইতিহাস। দলের উচিত হবে তাকে মুল্যায়িত করা।
এ প্রসঙ্গে মাহমুদুল হক খান মামুনের সাথে আলাপ করা হলে তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সবসময় কাজ করেছি।দলে আমার কি অবদান রয়েছে তা বরিশালবাসী জানে।নেত্রীর কাছে মনোনায়ন চাইব।আশা করছি নেত্রী নিরাশ করবেন না।অন্যদিকে মেয়র কিংবা এমপি যেটাই হোক নির্বাচন করে নিজের যোগ্যতা প্রমান করতে চান ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সদর আসন থেকে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করা কর্নেল (অব) জাহিদ ফারুক শামীম।বরিশালে নিজের একটি শক্ত বলয় তৈরি করতে পোড় খাওয়া ত্যাগী নেতাদের সথে যোগাযোগ করে সমন্বিত করে মাঠে নামতে চান এ নেতা।
নগরীর আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপ ইতিমধ্যেই তার সাথে যোগাযোগ রাখছেন।আলাপকালে তিনি বলেন ঈদুল ফিতরের পর প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করেছেন।প্রধানমন্ত্রী তাকে স্থানীয় রাজনীতির মাঠ গুছাতে নির্দেশনা দিয়েছেন।তবে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে তিনি যাবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন এ নেতা।অন্যদিকে সংসদ নির্বাচনে মনোনায়ন চাইবেন মাহবুব উদ্দিন আহম্মেদ।তিনিও কর্নেল জাহিদ ফারুক শামীমদের সাথে বরিশাল আওয়ামীলীগের একক নিয়ন্ত্রন ভাঙ্গতে চান।অন্যদিকে মহানগর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক এ্যড আফজালুল করীমও চাচ্ছেন মেয়র পদে নমিনেশন।তার দাবী দলে তার অবদান রয়েছে।দল তাকে মুল্যায়িত করবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।