শামীম আহমেদ ॥ বরিশালে ক্রমশ বাড়ছে অপমৃত্যুর সংখ্যা। ফলে জনসাধারণের মধ্যে অস্থিরতা বিরাজ করছে। অপমৃত্যু রোধে প্রয়োজন সচেতনতা ও ভিকটিমের প্রতি সহানুভূতি।
অপমৃত্যুর পিছনে কি কারণ রয়েছে, তাও উঠে এসেছে বরিশাল রেঞ্জ পুলিশের প্রতিবেদনে। বরিশাল বিভাগে গত আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ২৭৫ জনের অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
বরিশাল রেঞ্জ পুলিশের আইটি প্যানেল থেকে এ তথ্য জানা গেছে। পারিবারিক সমস্যা, মানসিক সমস্যা, হতাশা, অভিমান, দূর্ঘটনার কারণে বেশি অস্বাভাবিক মৃত্যু বা অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
নারীদের চেয়ে পুরুষরা বেশি অপমৃত্যুর শিকার হয়। শতকরা হারে ৫৯ ভাগ পুরুষ ও ৪০ ভাগ নারীরা অপমৃত্যুর শিকার হয়।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত তিন মাসে বরিশাল বিভাগে গলায় ফাঁস দিয়ে ৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। পানিতে ডুবে ৬৫ জনের, বিষপানে ৪০ জনের, সড়ক দূর্ঘটনায় ৪ জনের, বৈদ্যুতিক শক খেয়ে ৩৫ জনের, বজ্রপাতে ৩ জনের, গাছ থেকে পড়ে ২ জনের, ছাদ থেকে পড়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া অন্যান্য ঘটনায় আরও ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। রেঞ্জ পুলিশের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল জেলা গত তিন মাসে ৪২টি অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পটুয়াখালীতে গত তিন মাসে ৮২টি অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
পটুয়াখালীতে সবচেয়ে বেশি অস্বাভাবিক মৃত্যু বা অপমৃত্যু ঘটেছে। ভোলায় গত তিন মাসে ২৯টি অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
পিরোজপুরে গত তিন মাসে ৫৫টি অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বরগুনায় গত তিন মাসে ৪২টি অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে এবং ঝালকাঠিতে গত তিন মাসে ২৫টি অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এদিকে ২৭৫টি অপমৃত্যু বা ইউডি মামলার মধ্যে ৮৭টি নিস্পত্তি করা হয়েছে।