করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ, গণজমায়েত বন্ধ ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণে শুরু থেকেই বরিশাল জেলা প্রশাসন নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। তারি ধারাবাহিকতায় গত ৩১ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে সরকার কর্তৃক গণপরিবহন ও লঞ্চ চলাচলের অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে। আজ ২ জুন বিকাল থেকেই বরিশাল লঞ্চ ঘাটে ছিলো ঢাকামুখী মানুষের ঢল।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চগুলো যাত্রী তুলছে কিনা এবং লঞ্চঘাটে কতটা স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে তা মনিটরিং করার জন্য বরিশালের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, অজিয়র রহমান-এর নির্দেশনায় লঞ্চঘাট এলাকায় বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে ৪ টি মোবাইল কোর্ট টিম মাঠে অবস্থান নেন। বরিশাল জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জিয়াউর রহমান৷ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নাজমূল হুদা, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ দস্তেগীর, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদাৎ হোসেন। এসময় তারা বিআইডব্লিউটি-এর যুগ্ন পরিচালক আজমল হুদা মিঠুকে সাথে নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে প্রতিটি লঞ্চের সামনে ও ডেকের অভ্যন্তরে সচেতনামূলক মাইকিং করেন।
লঞ্চ জীবানুনাশক পানি স্প্রে কার্যক্রম, যাত্রীদের সকলেই মাক্স এবং যথাযথ সুরক্ষার সামগ্রীর ব্যবহার, ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী যাত্রী পরিবহন ইত্যাদি কার্যক্রম মনিটরিং করেন। পাশাপাশি লঞ্চ টার্মিনালের বাইরে প্রতিটা লঞ্চের ডেকের যাত্রীদের জন্য আলাদা ভাবে টিকিট কাউন্টারের ব্যবস্থা করে দিয় সেখানে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করছেন। উপচে পড়া ভীড়ে অধিক স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে এসময় লঞ্চের ডেকে যাত্রী তোলা বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং উপস্থিত লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
অপ্রয়োজনীয় ঘুরাঘুরি করছিলেনে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয় এবং লঞ্চের অভ্যন্তরে অধিক জনসমাগম এড়াতে কিছু যাত্রীকে ফেরত পাঠানো হয়। বরিশাল লঞ্চ টার্মিনাল থেকে বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে আজ ৫ টি লঞ্চ ছেড়ে যায় গ্রীন লাইন ওয়াটার বাস, সুন্দরবন, অ্যাডভেঞ্চার এবং সুরভী। পরবর্তীতে সার্বিক স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় নির্ধারিত সময়ের প্রায় একঘন্টা আগেই লঞ্চগুলো ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর উপস্থিতিতে বিআইডব্লিউ কর্তৃক মাইকিং করে যাত্রী এবং লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। যাত্রীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনা করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য উপস্থিত অনেক যাত্রীরা জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতি সাধুবাদ জ্ঞাপন করেন।
সহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতি সাধুবাদ জ্ঞাপন করেন। এসময়, শেখ হাসিনা সেনানিবাসের সেনাবাহিনী, র্যাব-৮, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এর টিম এবং নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে এ মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। জনস্বার্থে বরিশাল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।