বরিশালে ১ লাখ ৬৮ হাজার করোনার টিকা যাচ্ছে শুক্রবার

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

ঢাকা থেকে ১ লাখ ৬৮ হাজার করোনার টিকা বরিশালে পাঠানো হচ্ছে। আগামীকাল শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) ওই টিকা পৌঁছানোর কথা রয়েছে। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের টঙ্গীর সংরক্ষণাগার থেকে ফ্রিজার ভ্যানে বরিশাল সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পৌঁছে দেয়া হবে।

টিকা সংরক্ষণের জন্য এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বরিশাল সিভিল সার্জন কার্যালয়। কার্যালয়ের নিচতলার একটি কক্ষে দুই থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় করোনার টিকা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কক্ষে ভ্যাকসিন সংরক্ষণের ধারণক্ষমতা ১ লাখ থেকে সোয়া ৪ লাখ পর্যন্ত এবং আইএলআরে ধারণক্ষমতা ৭ হাজার ১০০ ভায়েল। প্রতিটি ভায়েলে ১০টি করে ডোজ থাকবে।

এদিকে টিকা আসার খবরে বরিশালবাসীর দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতি থেকে আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবেন বলে আশা করছেন তারা।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের বরিশালের বিভাগীয় পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলায় টিকাদানের কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। তবে তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

বরিশালের সিভিল সার্জন ডা. মো. মনোয়ার হোসেন জানান, ঢাকা থেকে পাঠানো টিকা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা পর্যায়েও এক থেকে দুই লাখ টিকা সংরক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, তিনি ও ডেপুটি সিভিল সার্জনসহ জেলার চারজন চিকিৎসক ঢাকা থেকে টিকা প্রয়োগের প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন। দু-একদিনের মধ্যেই মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনুমতি সাপেক্ষে তারা জেলার ১০ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে দু’জন করে ২০ জনকে টিকা প্রয়োগের প্রশিক্ষণ দেবেন। এরপর বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সরকারি সদর হাসপাতালে টিকার কার্যক্রম প্রথম পর্যায়ে শুরু হবে। পাশাপাশি ১০ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। সেই লক্ষ্যে আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।

ডা. মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, প্রথম পর্যায়ে সম্মুখসারীর স্বাস্থ্যকর্মী, শিক্ষক, সাংবাদিক, পুলিশসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কিছু নির্বাচিত মানুষকে টিকা প্রয়োগ করা হবে। তাদের তালিকা জেলা প্রশাসকের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। টিকাদানের তারিখ এখনো নির্ধারণ হয়নি। এই টিকা দুটি ডোজে দেয়া হবে। পয়েন্ট ফাইভ মিলিলিটার একটা ডোজ আট সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তারাও টিকাদান কেন্দ্রে যোগাযোগ করে তালিকাভুক্ত হতে পারবেন।