বরিশালে ১ মাসের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া হলেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

এবার বকেয়া বিদ্যুৎ বিল আদায়ে মাইকিং সহ সরকারি প্রতিষ্ঠান সমূহকে ১০ দিনের সময় বেধে দিচ্ছে ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী (ওজোপাডিকো)। বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের পরিমান বেড়ে যাওয়ায় কঠোর অবস্থান নিয়েছেন ওজোপাডিকো নতুন বাজার ফিডারের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।

এক মাসের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া হলেই গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ সহ এক মাসের মধ্যে বকেয়া বিল পরিশোধ না করলে সরাসরি মামলা দেয়া হবে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ওজোপাডিকো ডিভিশন-২ এর আওতায় নতুন বাজার ফিডারে প্রায় ৯ হাজার গ্রাহক রয়েছে। জানা গেছে, এ ফিডারে প্রায় ৫০ লক্ষাধিক টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। ফলে নতুন বাজার ফিডার আওতাধীন এলাকায় বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের জন্য সপ্তাহব্যাপি মাইকিং শেষে কর্মকর্তা-কর্মচারীগন বকেয়াধারী গ্রাহকের সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ অভিযানে নেমেছে। গত ১ ডিসেম্বর থেকে এ অভিযান চলছে বলে জানা গেছে।

এদিকে ডিভিশন-২ এর আওতায় সর্বোচ্চ ৯ হাজার গ্রাহক থাকলেও নানাবিধ সমস্যায় ভুগছেন গ্রাহকরা। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গাড়ী ও জনবলের অভাবে রীতিমত হিমসিম খাচ্ছেন এখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। মান্ধাতার আমলের একটি টেম্পু (মেয়াদোত্তীণ) দিয়ে গ্রাহকসেবা দিতে গিয়ে পথে পথে হোচট খাচ্ছেন তারা।

নতুন বাজার ফিডার ইনচার্জ মোঃ সেলিম হাসান চৌধুরী বলেন, মাসব্যাপি বকেয়াধারী গ্রাহকের সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, এক মাস বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকলেই সে সকল গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে এবং বকেয়া বিল পরিশোধ ব্যতিত কোন সুপারিশ গ্রহণ করা হবে না। সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার এক মাসের মধ্যে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে ব্যার্থ হলে সরাসরি মামলা প্রদান করা হবে বলেও জানান তিনি।

সরকারী প্রতিষ্ঠানে বকেয়ার ব্যপারে ইনচার্জ মোঃ সেলিম হাসান চৌধুরী বলেন, সরকারী অফিসগুলোতে দশ দিনের সময় বেধে দিয়ে লিখিত নোটিশ প্রদান করা হচ্ছে। তবে জরুরী বিভাগ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ছাড়া সরকারী দপ্তরের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ব্যাপারে কোন বিধি নিষেধ নেই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ওজোপাডিকো’র নিজস্ব নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ফলে এখন থেকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বেগ পেতে হবে না বলেন তিনি।