বরিশালে ১৪দিনে ৩শত ১৬ জেলেকে কারাদন্ড

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

বরিশাল জেলার দশ উপজেলার মেঘনা সহ বিভিন্ন নদীতে প্রজননক্ষম ইলিশ সংক্ষন বাইশ দিনের নিষেধাজ্ঞায় পালনকালে জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটদের মাধ্যমে নৌ-পুলিশ,কোষ্টগার্ড ও নৌ-বাহিনীর সহযোগীতায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে গত চৌদ্দ দিনে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে নিষেধাজ্ঞা না মেনে ইলিশ শিকার করার অপরাধে ৩শত ৭৫টি মামলার মাধ্যমে ৩শথ ১৬ জন জেলেকে কারাদন্ড প্রদান,৫৯ জন জেলে অর্থ দন্ড জরিমানা করা হয়েছে।

 

এসময় নগদ ২লক্ষ ৯৫ হাজার অর্থ জরিমানার মাধ্যমে আদায় করার পাশাপাশি ২১ লক্ষ মিটার জাল উদ্ধার করে পুড়িয়ে বিনষ্ট করে দিয়েছে প্রশাসন।

 

জেলা প্রশাসন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আতাউর রাব্বীর এর নেতৃত্বে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ০৭ টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বরিশালের বিভিন্ন নদীর পৃথক পৃথক স্থানে প্রজননক্ষম ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত হয়।

 

 

অভিযানকালে ইলিশ মাছ আহরণের সময় র‌্যাবের সহায়তায় পাঁচ জেলেকে আটক করা হয়। সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে ইলিশ মাছ আহরণের দায়ে তাৎক্ষণিক মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আটককৃত দুই জেলেকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৩ জেলেকে ৬হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। পাশাপাশি প্রায় ১ হাজার মিটার জাল জব্দ ও পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।

 

 

 

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব সুব্রত বিশ্বাস দাস এর নেতৃত্বে অপর একটি অভিযানে নৌ-পুলিশের সহায়তায় ৪ জন জেলেকে আটক করা হয়।

 

অমান্য করে ইলিশ মাছ আহরণের দায়ে তাৎক্ষণিক মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আটককৃত ৪ জন জেলেকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। অধিকন্ত প্রায় ১ লাখ মিটার জাল ও ১৫ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়।

 

 

জব্দকৃত মাছ স্থানীয় মাদ্রাসায় ও দুঃস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়। উক্ত অভিযানে প্রসিকিউশন অফিসার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অফিসার( ইলিশ) জনাব বিমল চন্দ্র দাস।

 

 

এছাড়া বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে পৃথক পৃথক স্থানে পরিচালিত এই অভিযানসমূহে আইন-শৃঙখলা রক্ষায় নৌ-পুলিশ ও র‌্যাব, বরিশাল সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন।

 

 

হিজলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বকুল চন্দ্র কবিরাজ এর নেতৃত্বে প্রজননক্ষম ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানকালে হিজলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মেঘনা সহ বিভিন্ন নদীতে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত হয়।

 

 

মৎস্য সম্পদ রক্ষায় সরকারি নির্দেশনা অমান্যকরে মাছ ধরার অপরাধে এসময় ১০ জেলেকে আটক করে তাৎক্ষনিক মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১ বছরের কারাদন্ড সাজা প্রদান করে। একই সময় অভিযানে প্রায় ৩০ হাজার মিটার জাল পুড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে বিনষ্ট করা হয়।

 

অপরদিকে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন নদীতে পৃথক পৃথক অভিযান পরিচালনা করে ২ জন জেলেকে আটক করা হয়৷

 

 

আটককৃত ২ জন জেলেকে তাৎক্ষণিক মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১ বছরের কারাদন্ড প্রদান করা হয়। অভিযানে প্রায় ৫ হাজার মিটার জাল ও প্রায় ৮ কেজি পরিমাণ ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়৷

 

মোবাইল কোর্ট এসময় জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়৷ ও মাছ স্থানীয় এতিমখানা, মাদ্রাসায় ও স্থানীয় দুস্থদের মাঝে বিলিয়ে দেয়া হয়।

 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, মেহেন্দিগঞ্জ, বরিশাল পিজুস চন্দ্র দে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট অভিযানে প্রসিকিউশন অফিসার হিসেবে উপস্থিত থেকে সহায়তা প্রদান করেন উপজেলা মৎস্য অফিসার ভিক্টর বাইন।

 

মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন নদীতে পৃথক পৃথক স্থানে পরিচালিত এই অভিযানকালে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সার্বিক সহায়তা প্রদান করেন মেহেন্দিগঞ্জ থানা পুলিশ, কাজিরহাট থানা পুলিশ ও কালীগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির চৌকস পুলিশ দল।

এদিকে বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আমীনুল ইসলাম এর নেতৃত্বে প্রজননক্ষম ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে বাবুগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন নদীতে পৃথক পৃথক অভিযান পরিচালনা করে ৩ জন জেলেকে আটক করা হয়৷

 

 

আটককৃত ২ জন জেলেকে তাৎক্ষণিক মোবাইল কোর্টের ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ১ জনকে ৩ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয় ।

 

 

অধিকন্তু প্রায় ৭৪ হাজার মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ ও পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয় এবং জব্দকৃত ৩০ কেজি ডিমওয়ালা ইলিশ এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।

 

সহকারী কমিশনার(ভূমি) বানারীপাড়া এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মফিজুর রহমান নেতৃত্বে প্রজননক্ষম ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষ্যে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট অভিযানকালে সরকারী নির্দেশ অমান্য করে ইলিশ মাছ আহরণের সময় ২ জন জেলেকে বানারীপাড়া থানা পুলিশ এর সহায়তায় আটক করা হয়।

 

 

আটককৃত ২ জেলেকে তাৎক্ষণিক মোবাইল কোর্টে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয় । পাশাপাশি ৩ হাজার ৫শত মিটার জাল জব্দ ও পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।

 

 

 

সহকারী কমিশনার (ভূমি) উজিরপুর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জয়দেব চক্রবর্তীর নেতৃত্বে প্রজননক্ষম ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের সময় উজিরপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে প্রায় ৯হাজার মিটার জাল জব্দ ও পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।