বরিশালে ১২৩ পয়েন্টে তীব্র নদী ভাঙন আতংকে ঘুম হারাম মানুষের

:
: ৩ years ago

বরিশাল অঞ্চলের ৯১টি নদীর ১২৩টি পয়েন্টে নদী ভাঙন তীব্র হয়েছে। ভাঙন আতংকে নদী তীরের মানুষ বিনিদ্র রাত কাটাচ্ছে। এর মধ্যে ৮টি স্থানে জরুরী ভিত্তিতে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। অন্যান্য পয়েন্টের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করেছে তারা।

পাউবোর হিসেবে, গত বছর বর্ষার সময় বরিশাল অঞ্চলের ৭৬টি নদীর ৮৬ পয়েন্টে তীব্র ভাঙন ছিলো। এবার শুকনো মৌসুমের শুরুতেই বিভাগের ৯১টি নদীর ১২৩টি স্থানে তীব্র ভাঙন শুরু হয়। বরিশাল নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভাঙন আতংকে দিন কাটছে কীর্তনখোলা নদী তীরের মানুষের।

এছাড়া বাবুগঞ্জের বাহেরচর, রাকুদিয়া, মীরগঞ্জ, বরিশাল সদরের চরবাড়িয়া, কাউয়ার চর, লামছরি, হবিনগর, কামারপাড়া, আটহাজার, কালীগঞ্জ, ইছাগুড়া, বাউশিয়া, জয়নগর, উলানিয়া, দূর্গাপাশা, শিকারপুর এবং দোয়ারিকা সহ শতাধিক পয়েন্টে নদী ভাঙন এখন তীব্রতর হয়েছে।

এসব এলাকায় নদী ভাঙনে সহায়-সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে শত শত পরিবার। এখনও ভাঙন আতংকে দিন কাটছে নদী তীরের মানুষের। এসব কারনে বরিশালে নদী ভাঙন এখন সারা বছরের দুর্যোগে পরিনত হয়েছে।

বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. জাভেদ ইকবাল বলেন, নদীতে পানির দীর্ঘ স্থায়িত্বের কারণে ভাঙন প্রতিরোধে পর্যাপ্ত সময় পাচ্ছে না পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ কারণে যথাসময়ে ভাঙন প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না।

পাউবো গত এক বছরে বিভিন্ন স্থানে নদী ভাংগন প্রতিরোধে জরুরী ভিত্তিতে সাড়ে ৯ লাখ জিও ব্যাগ ফেললেও নদী ভাঙন প্রতিরোধ হয়নি। ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি জিও ব্যাগ ফেলার পর জোয়ারের তোড়ে সেগুলো স্থানচ্যুত হয়ে যাচ্ছে। এ কারনে ভাঙন প্রতিরোধ হচ্ছে না।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশাল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম সরকার জানান, জরুরী ভিত্তিতে বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙন প্রতিরোধে ১টি প্রকল্প চলমান রয়েছে।

ভাঙনের তীব্রতা থেকে জনগনের সহায়-সম্পদ রক্ষায় আরও দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া আরও ১৬টি প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা গেলে নদী ভাঙন প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।