বরিশালে ১০ তলা জুডিসিয়াল আদালত ভবনে দূর হবে সব সংকট!

:
: ৬ years ago

আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হতে যাচ্ছে ৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য ১০ তলা জুডিসিয়াল আদালত ভবন। আর এই ভবন নির্মাণের মাধ্যমে এজলাস থেকে শুরু করে আইনজীবী ও বিচার প্রার্থীদের বসার স্থান এবং মহিলা হাজতখানা সংকট দূর হবে।

ভবনে থাকছে শিক্ষানবীস বিচারকদের আলাদা কক্ষ, কনফারেন্স রুম ও নামাজের স্থান, ক্যাফেটিরিয়া, গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থার সঙ্গে বিচার প্রার্থীদের সঙ্গে আসা ছোট শিশুদের খাওয়ানো ও রাখার ব্যবস্থাও। সিনিয়র আইনজীবীদের ধারণা ভবনটির কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ হলে এজলাসের সঙ্গে সঙ্গে বিচারকের সংখ্যা বাড়লে মামলার জটও কমবে।
বরিশাল গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রিপন কুমার রায় জানান, নির্মিত ১০ তলা বিশিষ্ট এই ভবনের প্রথম দুটি ফ্লোরের আয়তন ১৩ হাজার ৯১২ ও পরের ৮টি ফ্লোর ১২ হাজার ১৫৩ স্কয়ার ফিট করে। ১০ তলা এ ভবনে ১৪টি এজলাস থাকবে। ভবনের ওঠা নামার জন্য দেয়া হয়েছে তিনটি লিফট। যার মধ্যে একটি বিচারকদের জন্য ও অপর দুটি আদালতের অন্যান্য কর্মচারী ও বিচার প্রার্থীরা ব্যবহার করবেন। তবে ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হতে আরো কিছুদিন সময় লাগবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অল্প কিছু কাজ বাকি আছে যা আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হবে।
সরকারি কৌশলী গিয়াস উদ্দিন কাবুল বলেন, এই ভবনটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে আদালতের এজলাসসহ বিচারপ্রার্থীদের যা দুর্ভোগ ছিল তা সমাধান হবে। ভবনের অভাবে যেসব এজলাস এখন জেলা প্রশাসন ভবনে রয়েছে তা সব এই ভবনে নিয়ে আসা হবে। তাছাড়া কক্ষ সংকটে একটি এজলাসে চার আদালতেরও বিচার কার্য চলত। সে সমস্যারও সমাধান হবে।
আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীরা জেলা জজশিপ চত্বরের মধ্যে থেকেই সব কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন। বিচার কাজের জন্য তাদের আর ছোটাছুটি করতে হবে না। বরিশাল আদালতের বড় সমস্যা ছিল মহিলা হাজতখানা নিয়ে। এ ভবনে সে সমস্যা দূর হবে। এখানে পুরুষ ও মহিলা পৃথক হাজতখানা রাখা হয়েছে। ভবন হস্তান্তরের সঙ্গে সঙ্গে বিচারক সংকট দূর করা হলে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে। কমে আসবে মামলার জট।
বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে ২০১৬ সালের ১২ জানুয়ারি বরিশাল নগরীর প্রাণ কেন্দ্র ফজলুল হক এভিনিউ জেলা জজ আদালত কম্পাউন্ডে গণপূর্তের তত্ত্বাবধানে শুরু হয় ১০ তলা বিশিষ্ট জুডিশিয়াল ভবন নির্মাণ কাজ।
ওই দিন আইনমন্ত্রী মো. আনিসুল হক আনুষ্ঠানিকভাবে ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। এর পূর্বে ২০১৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর বরিশালের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজের অনুমোদন দেয়। নির্মাণ কাজের ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৩৫ কোটি ৮৫ লাখ ২৬ হাজার ২১৭ টাকা। পরে ৩১ কোটি ৩৮ লাখ ৮৭ হাজার ৪৭৫ টাকায় কাজটি অনুমোদন দেয়া হয়। ওই অনুমোদনে ৩০ মাসের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করার নির্দেশ দেয়া হয়। সেই অনুযায়ী আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দাবি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করে ভবন হস্তান্তর করা হবে।