চুরি হওয়া ৪টি মোটরসাইকেলসহ চোর সিন্ডিকেটের ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ মহানগরীর কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ। সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. রাসেল আহমেদ এর নেতৃত্বে বরগুনা ও বেতাগী উপজেলা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
জননিরাপত্তায় সদা জাগ্রত বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ। বরিশাল মহানগরীর অধিবাসীদের জানমালের নিরাপত্তা প্রদানকরাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। সে লক্ষ্য পুরনে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃশাহাবুদ্দিন খান বিপিএমম (বার) -এর নির্দেশ মোতাবেক বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন চৌকষ ইউনিট নিরলস কাজ করে চলেছে।
গত কয়েকমাসে বরিশাল মহানগরীর বিভিন্নস্থান থেকে কয়েকটি মটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে। গত ০৬ই ফ্রেবুয়ারী বেলা অনুমান ১০.৪৫ ঘটিকার সময়ে বহুমূখী সিটিমার্কেট সংলগ্ন বরিশাল স্টীমার ঘাট পল্টনে প্রবেশের বাম পার্শ্বে খালিজায়গা হতে বাজাজ কোম্পনির প্লাটিনা ১০০ সিসি মটরসাইকেল চুরিকরে নিয়ে যাওয়ার সময়ে মোঃ মামুন হোসেনকে স্থানীয় লোকজন হাতেনাতে ধরে ফেলে।
এ সংক্রান্তে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি চুরি মামলা রুজু হয়। মোঃ মামুন হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানাযায় যে, লাবুমিরা, নয়ন ও খান নামে তিনজন ব্যক্তির সহযোগিতায় সে মটরসাইকেল চুরি করে এবং বরগুনা, ভোলা, পিরোজপুর, খুলনা, কক্সবাজার সহ বিভিন্ন জেলায় চোরাই মটরসাইকেল বিক্রয় করে।
তার কাছথেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে উপ-পুলিশ কমিশনার দক্ষিণ বিএমপি মোঃ মোকতার হোসেন পিপিএম-সেবা এর সার্বিক তদারকিতে গত ১৬ ফ্রেবুয়ারী সহকারী পুলিশ কমিশনার রাসেল এর নেতৃত্বে কোতয়ালী মডেল থানার একটি চৌকষ টিম তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তায় বরগুনা জেলার অর্ন্তগত বেতাগী, ছোট মোকামিয়া, করুনা, বরগুনা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে চোরাইকৃত ০৩টি মটরসাইকেল উদ্ধার এবং মটরসাইকেল চুরি, ক্রয় বিক্রয়ের সাথে জড়িত ০৬ জনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় মোঃমামুন হোসেন,নয়ন ও খান এর সহযোগিতায় বরিশাল মহানগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে মটরসাইকেল চুরি করে ইঞ্জিন ও চেসিস নম্বর টেম্পারিং করে। অতপরঃ ভূয়া কাগজপত্র তৈরিকরে বিভিন্ন জেলায় চোরাই মটরসাইকেল বিক্রয় করে। এই সংঘবদ্ধ চক্রকে চিহ্নিত ও গ্রেফতার করার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।