নদীর নাব্যতা হারানোর কারণে লঞ্চ কর্তৃপরে স্বেচ্ছাচারিতায় বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ’র হাজার হাজার নৌ-পথের যাত্রীরা চরম দূর্ভোগে। সরেজমিনে দেখা যায়, লঞ্চঘাট থেকে প্রায় পৌনে এক কিলোমিটার দূরত্বে রাস্তার মাথায় প্রতিটি লঞ্চ থেকে যাত্রীদের উঠানামা করে পায়ে হেটে লঞ্চঘাটে পৌছতে হচ্ছে। এতে করে চরম বিপাকে পরে অসুস্থ্য রোগী থেকে বৃদ্ধ বয়সের লোকজন।
বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা রাতুল লঞ্চের যাত্রী বৃদ্ধ মকবুল হোসেন বলেন, বিকাল ৪ টায় রাস্তার মাথায় বালুচরে লঞ্চ থেকে নামিয়ে দিল কিন্তু মাথার উপরে রোদ্রু আর পায়ের নিচে বালু কিভাবে যাবো ওই ঘাটে। অপরদিকে রুকুন্দি ৭নং ওয়াডের্র প্রান গোপাল তার মেয়েকে নিয়ে লঞ্চ থেকে নেমে বিপাকে পরে শিশু নাতিকে নিয়ে। রাতুল লঞ্চ সহ বরিশাল থেকে ছোট-বড় ডজন খানেক লঞ্চের ওই স্বেচ্ছাচারিতা কবে বন্ধ হবে কেউ জানে না। যাত্রীদের দাবী এর পূর্বেও নদীর নাব্যতায় যখন লঞ্চ ঘাটে আসতে পারত না তখন ট্রলার যোগে যাত্রীদের পাড়াপাড়ে উঠানামা করত কিন্তু এখন লঞ্চ কর্তৃপ ট্রলার না দিয়ে পৌনে এক কিলোমিটার দূরে বালুচরে নামিয়ে দিচ্ছে যাত্রীদের। এই দূর্ভোগ দেখার দায়ীত্ব কার? নৌ-কর্তৃপ বিষয়টি যতদ্রæত সম্ভব তদন্ত স্বাপেে ব্যবস্থা নেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেণ স্থানীয়রা।
বিআইডব্লিউটিএ বরিশালের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার বলেন, প্রতি বছরই নিথুয়া পাতারহাট লঞ্চঘাটে ড্রেজিং করা হয়। কিন্তু আবার বালু পড়ে যায়। এ বছরও ড্রেজিং করা হবে। গত বুধবার আমাদের একটি টিম সেখানে পরির্দশন করে এসেছে। মুলত ঘাটটি সরাতে না পারলে স্থায়ী কোন সমাধান হবে না। তাই মাছ কাজিরচরে ঘাটটি সরানো বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।
এব্যাপারে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার রায় বলেন, ‘লঞ্চ ঘাটের মুখে বালু পরে ব্যবহার অনুপোযোগি হয়ে পড়েছে। মূল নদী থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দুরে সরে গেছে পানি। আমরা স্থানীয়ভাবে কয়েকবার বালু কটেছি। কয়েকবার বিআইডব্লিউটিএ কেটে দিয়েছে। কিন্তু এখন আবার একই অবস্থা। তাই বিআইডব্লিউটিএকে বলা হয়েছে। মুলত এখানে পরিবেশ গত বিষয়। আমার কাছে মনে হচ্ছে লঞ্চঘাট পরিবর্তন করতে পারলে র্দীঘস্থায়ী সমাধান আসবে।’
© স্বত্ব আর্থটাইমস্ ২৪.কম
প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ জাকারিয়া আলম (দিপু)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ:বরিশাল-৮২০০।
আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:::
নিউজ মেইল:::
earthtimes24@gmail.com(নিউজ)
news@earthtimes24.com(নিউজ)
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
২০১৭ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত earthtimes24.com