বরিশালে হলুদ অটো নিয়ে বিসিসি-ট্রাফিক বিভাগ মুখোমুখি

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

নগরীতে হলুদ অটো রিক্সা চলাচল নিয়ে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) ও ট্রাফিক বিভাগ মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের দাবী নগরীতে হলুদ অটো চলবে আর ট্রাফিক বিভাগের দাবী চিরতরে নগরী থেকে হলুদ অটো চলাচল বন্ধ করা হবে। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সিটি কর্পোরেশনের সম্মেলন কক্ষে উভয় পক্ষের আলোচনা সভায় মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন তারা। তবে নগরীতে হলুদ অটো চলাচলের পক্ষে জোরালো বক্তব্য রাখেন মেয়র আহসান হাবিব কামাল। তিনি বলেন, নগরীতে প্রায়  ২ হাজার ৬শ ১০টি বৈধ অটোরিক্সা (হলুদ অটো) রয়েছে। অটো রিক্সার সামান্য আয়ে প্রায় ২৫ হাজার পরিবার জীবিকা নির্বাহ করে। পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশন মোটা অংকের রাজস্ব আয় করে থাকে। কিন্তু হঠাৎ করেই নগরী থেকে যানযটের বাহানায় বন্ধ করে দেয়া হয় হলুদ অটো। ফলে হাজার হাজার পরিবার অর্থাভাবে সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশনের হচ্ছে না কোন আয়। এ সয়ম ট্রাফিক বিভাগের প্রধান ডিসি (ট্রাফিক) উত্তম কুমার পাল বলেন, বৈধ অটোর চেয়ে অবৈধ অটো বেশি চলাচল করছে।

পাশাপাশি নগরীতে তীব্র যানযট সৃষ্টি করায় হলুদ অটো বন্ধ করা হয়েছে। আগামীতে তারা নগরী থেকে চিরতরে অটো চলাচল বন্ধ করে দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন। নগরীতে আলফা এবং গ্রাস চালিত অটো রিক্সা চলবে বলে জানান। এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মেয়র কামাল বলেন, নগরীতে আলফা এবং গ্রাস চালিত অটো রিক্সার লাইসেন্স দিয়েছে বিআরটিএ এখান থেকে সিটি কর্পোরেশনের কোন আয় নেই। পাশাপাশি হলুদ অটো চলাচলের সময় ট্রাফিক বিভাগের বিভিন্ন টিআই কার্ডের মাধ্যমে অবৈধ অটো চলতে পারমিশন দেন। যখন বিষয়টি জানাজানি হয় তখনই তারা অটো বন্ধ করে দেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আমার নগরীতে অন্য যানবাহন চলবে আর তা থেকে কর্পোরেশনের কোন আয় হবে না তা হতে পারে না। তা না হলে আপনারা আলফা ও গ্যাস চালিত অটো বন্ধ করে দিন। কোন সিদ্ধান্ত না নিয়েই ঘন্টা ব্যাপীর আলোচনা শেষ হয়। তবে এ বিষয়টি নিয়ে আগামী ১৫ নভেম্বর ফের বৈঠকে বসবেন তারা। বিষয়টি সম্পর্কে মেয়র আহসান হাবিব কামাল বলেন, নগরীতে অটো চলাচল করবে। কিন্তু ট্রাফিক বিভাগ বলছে নগরীতে অটো চলাচল বন্ধ করা হবে। তাই পুলিশ কমিশনার দেশের বাহিরে থাকায় কোন সিধান্তে আশা যায়নি।

তবে আগামী ১৫ নভেম্বর বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসা হবে। ডিসি ট্রাফিক উত্তম কুমার পাল বলেন, নগরীর নতুল্লাহবাদ থেকে জেলখানার মোর পর্যন্ত অটো চলাচল বন্ধে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আর ওই আদেশ বাস্তবায়নে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ওয়াহেদুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ জাকির হোসেন, বিআটিএর উপ-পরিচালক মোঃ শাহ আলম, প্যানেল মেয়র কেএম শহিদুল্লাহ, মোশাররফ আলী খান বাদশা, তাসলিমা কামাল পলি, কাউন্সিলর আক্তরুজ্জামান হিরু, সালাউদ্দিন মাসুমসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলররাসহ অটো রিক্সা মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।