খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত হতদরিদ্রদের জন্য খাদ্য বান্ধব কর্মসুচির অংশ হিসেবে।প্রধান মন্ত্রীর বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ এই স্লোগান কে সামনে রেখে,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রতি বাস্তবায়নের লক্ষে মাসে প্রতি একজন কার্ড ধারী ১০টাকা দরে মোট ৩০ কেজি চাল পাওয়ার কথা থাকলেও স্বরজমিনে গিয়ে দেখা গেলো উল্টো চিত্র। বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নের মধ্য মহেশপুর বাজার সংগঠন একটি বসত বাড়িতে ডিলার মোঃ ফরিদ খানের চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। কার্ড প্রতি ৩০কেজি চাল দেয়ার পরিবর্তে দেয়া হচ্ছে ২২থেকে২৫ কেজি করে।
ভুক্তভগী স্থানী আবু বক্কার সাংবাদিকদের জানায়, বিভিন্ন সময় প্রতিবাদ করেছি কিন্তু লাভ হয় নাই, বরং ভোগান্তী বেরে গেছে। কারন জানতে চাইলে বলেন ডিলাররা কম দেওয়া সত্যেও তাদেরকে প্রশাসন ও সাংবাদিকরা কিছুই করতে পারছে না। প্রশাসন তাদের কিছু বল্লে গুদাম থেকে চাল আনা বন্ধ করে দেয়। আর আমাদের গরীবের হয় যত দূর্ভোগ।
তিনি বলেন, এই ইউনিয়ারের মধ্যে প্রায় সব কইটি ডিলার গুদাম থেকে চাল সংগ্রহ করা বন্ধ করে দিয়েছে। এখন শুধু দুই জন ডিলার এই ইউনিয়নে হতদরিদ্রদের জন্য খাদ্য বান্ধব কর্মসুচির চাল বিক্রী করে। তাই তারা যেমন খুশি তেমন অসহায় দরিদ্র মানুষদের ওজনে কম দিচ্ছে কেউ প্রতিবাদ করছেনা।
স্থানীয় অটো চালক তাহের ফরাজী বলেন, মাঝে মাঝে আপনাদের মত বড় বড় সাংবাদিকরা আশে দেখি কিন্তু তারা অগো বিরুদ্ধে কি লেহে তা চোহে পরেনা।
এবিষয়ে সত্যতা শিকার করে ডিলার মোঃ ফরিদ খান দুই হাত দিয়ে কান ধরে সাংবাদিকদের বলেন, এবারও গুদাম থেকে আমাকে প্রায় প্রতি বস্তায় ৮থেকে ১০কেজি করে কম দিয়েছে উপজেলা খাদ্য অফিস।লেবাররা খামখেয়ালী করে লেবারদেরও কিছু বলতে পারি না ।এভাবে চলতে থাকলে আমি আর আগামী বছর থেকে চাল আনা বন্ধ করে দেব। বরাদ্ধকৃত মোট বস্তার মধ্যে আমাকে ২০থেকে ২৫বস্তা চাল কম দিয়েছে তারা। তাহলে বলেন আমি কি করে তাদের (হতদরিদ্রদের) ৩০কেজি করে চাল দেবো। বাধ্য হয়ে ২০/২৫ কেজি করে চাল দিতে হয়।
ডিলার মোঃ ফরিদ খান আরও জানায়, চাল কম দেওয়ার ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান রুহুল আমিন মাসুম ভাই কিছুটা যানে। এরপর আবার প্রশাসন, ইউপি সদস্য, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন মিডিয়া ম্যানেজ করে তবেই চাল বিতরন করতে হয় আমাকে।
এব্যাপারে নিয়ামতি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ রুহুল আমিন মাসুম বলেন, একটু অনিয়ম হলেও হতে পারে। আর আমি কাওকে ওজনে কম দেওয়ার কথা কখনো বলিনাই। সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন কাজ কেউ করলে তার ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাধবী রায় বলেন অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যাবস্থা নেয় হবে।
এব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, হতদরিদ্রদের ১০টাকা দরের চাল বিতরনে অনিয়ম এটা আমি শুনেছি তবে সরকরি নিয়ম মেনেই চাল বিতরন করা উচিৎ বলে আমি মনে করি।
উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তর কর্মকর্তা বলেন বর্তমান সরকার প্রতি বস্তায়৩০কেজি করে চাল পরিমাপ করে দিয়েছে কম দেয়ার সুযোগ নেই।