বরিশালে স্থায়ীর সাথে আরও বসবে অর্ধশত পশুর হাট

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

আগামী ২১ জুলাই মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহৎত্তম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল-আযহা। ত্যাগের মহিমায় পশু কোরবানির মধ্যে দিয়ে এই উৎসব উদযাপন করবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

তাই পশুর চাহিদা মোটাতে অতিমারি করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেই বরিশালে বসবে গরু-ছাগলের হাট।

তাই এরই মধ্যে অস্থায়ী ভিত্তিতে পশুর হাট ইজারা নিশ্চিত করতে বরিশাল সিটি এবং জেলা পর্যায়ে আবেদন গ্রহণ শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

পূর্বের অর্থাৎ স্থায়ী ২৫টি হাট ছাড়াও জেলায় আরও অর্ধশত হাট বসবে। তবে অস্থায়ী হাট ইজারার বিষয়টি নিশ্চিত হতে আরও দু-একদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার বিভাগ।

অবশ্য ৩০টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ৫৮ বর্গ মাইলের বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকায় একটি স্থায়ী হাটের সাথে আরও দুটি অস্থায়ী হাটের বিষয়টি অনেকটা চূড়ান্ত বলে জানিয়েছেন সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক আহমেদ।

তিনি জানিয়েছেন, ‘পূর্বে থেকেই বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের অধীন বাঘিয়ায় একটি স্থায়ী পশুর হাট বসছে। হাটখোলা কসাইখানায় একটি স্থায়ী হাট বসলেও সেটা গত দু-বছর ধরে ইজারা প্রদান করা হচ্ছে না।

এর বাইরে নগরীর রূপাতলী শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতুর ঢালে এবং কাউনিয়া টেক্সটাইল এলাকায় একটি করে অস্থায়ী হাট ইজারা প্রদান করা হতে পারে। তবে এটা চূড়ান্ত হতে আরও দু-একদিন সময় লাগবে। হতে পারে অস্থায়ী হাটের সংখ্যা বৃদ্ধি আবার কমতেও পারে।

অপরদিকে, বরিশাল জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সদরসহ জেলার ১০টি উপজেলায় রয়েছে ২৩টি স্থায়ী হাট। যেগুলোতে কোরবানি উপলক্ষে নিয়মিত পশু বেচা-বিক্রি হবে।

এর সাথে জেলায় আরও অর্ধশত অস্থায়ী হাট যুক্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সহকারী পরিচালক শরীফ মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।

তিনি বলেন, ‘পশুর হাট কম থাকলে মানুষের গণজমায়েতটা বেশি হবে। যে কারণে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। তাই দূরত্ব বেশী রেখে অস্থায়ী হাটের সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে।

এর ফলে দেখাযাবে এক হাটে মানুষ ভীর না করে অন্যান্য হাটে ছড়িয়ে যাবে। এতে সংক্রমণ ঝুঁকিও অনেকটা কমবে জানিয়ে তিনি বলেন, হাট ইজারার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘সিটি কর্পোরেশন বাদে বরিশাল জেলায় ২০২০ সালে মোট ২৩টি স্থায়ী হাট ছিল। ওই বছর অস্থায়ী হাটের অনুমোদন দেয়া হয়েছিল ৩৫টি।

এবার স্থায়ী হাটের সংখ্যা তেমন একটা না বাড়লেও অস্থায়ী হাটের সংখ্যা বাড়বে। এর মধ্যে বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা ইজারা আবেদনের তদন্ত করে অনুমোদনের জন্য কিছু পত্র জেলার স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠিয়েছেন। আগামী ১৪-১৫ জুলাই’র মধ্যে বরিশাল জেলায় পশুরু হাটের সংখ্যা চূড়ান্ত হবে।