বরিশালের হিজলায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী ইউসুফ সিকদারকে ফাঁসির দন্ড দিয়েছে আদালত।মঙ্গলবার (২৬ জুন) বেলা ১২ টার দিকে বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালেতের বিচারক আবু শামীম আজাদ আসামীর উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত ইউসুফ সিকদার (৩২) হিজলা উপজেলার ইন্দুরিয়া গ্রামের মোঃ হারুন সিকদারের ছেলে।মামলার অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, হত্যার ঘটনার ৪ বছর পূর্বে দন্ডপ্রাপ্ত ইউসুফ সিকদারের সাথে হিজলার মেমানিয়া এলাকার মোঃ ফারুক সিকদারের মেয়ে কুলসুম বেগমের সাথে বিবাহ হয়। যাদের সিফাত নামের এক শিশু (পুত্র) সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে কুলসুম বেগমের স্বামীসহ শশুর বাড়ির লোকজন যৌতুক দাবী করে আসছিলো। দাবীর প্রেক্ষিতে কুলসুমের বাবা ও মামলার বাদী মোঃ ফারুক ফকির নগদ ২ লাখ টাকা ও ১ লাখ টাকা মূল্যের ৩ টি গরু প্রদান করেন।কিন্তু এতে কুলসুম বেগমের স্বামীসহ শশুর বাড়ির লোকজন সন্তুষ্ট না হয়ে আরো ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করেন। তবে এ টাকা দিতে অসীকৃতি জানায় কুলসুমের পিতা।পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে কুলসুমের বাবা ও মামলার বাদী জানতে পারেন, তার মেয়ের শশুরবাড়িতে মৃত্যু হয়েছে।এমন সংবাদে তিনি মেয়ের শশুরবাড়িতে গিয়ে বসত ঘরের চৌকির ওপরে মরদেহ পরে থাকতে দেখেন। এসময় তিনি জানতে পারেন, তার মেয়েকে যৌতুকের দাবীতে মারধর করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে এবং ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার কুলসুম বিষপানে আত্মহত্যা করেছে এমন খবর এলাকায় ছড়িয়ে মামলার আসামীরা পালিয়ে যায়।এ ঘটনায় ওইদিনই নিহত কুলসুমের বাবা মোঃ ফারুক সিকদার বাদী হয়ে ৬ জনের বিরুদ্ধে হিজলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।মামলার আসামীরা হলেন কুলসুমের স্বামী ইউসুফ সিকদার, শশুর হারুন সিকদার,শাশুরি রাহিমা বেগম, চাচা শশুর জাহাঙ্গীর সিকদার, ননদ রোকেয়া বেগম, ননদের স্বামী হালান বেপারী।একই বছরের ৯ মে হিজলা থানার এসআই মোঃ আসাদুজ্জামন হাওলাদার নিহত কুলসুমের স্বামী ইউসুফ সিকদারকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।আদালত ১৩ জনের সাক্ষগ্রহন শেষে আজ এ রায় প্রদান করেন বলে জানিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালেতের স্পেশাল পিপি ফয়জুল হক ফয়েজ।