বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে বেড না পাওয়া রোগীরা সেন্ট্রাল অক্সিজেনের আওতায় না থাকায় দেয়া হচ্ছে সিলিন্ডার। তবে অক্সিজেন সিলিন্ডারের জন্য রোগীর স্বজনদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
সোমবার দুপুরে হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ফটকের সামনে দেখা যায় স্বজনদের ভিড়। তারা জানান, সকাল থেকে অপেক্ষা করছেন। তবে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে ট্রাক এসেছে দুপুরের পর।
করোনা ইউনিটের দ্বিতীয় তলায় ভর্তি এক রোগীর স্বজন জোবায়ের খান বলেন, ‘আমার চাচাকে এখানে ভর্তি করেছি। তার অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৭০ থেকে ৭৫-এ আপ-ডাউন করছে। সার্বক্ষণিক তার অক্সিজেন প্রয়োজন।
‘তবে আমরা চাহিদা মোতাবেক অক্সিজেন পাচ্ছি না। অপেক্ষা করতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। দুর্বিষহ দুর্ভোগে রয়েছি। প্রায় সকাল থেকেই দাঁড়িয়ে রয়েছি।’
আরেক রোগীর স্বজন কলি বেগম বলেন, ‘আমার স্বামীর করোনা পজিটিভি। এখানে যে চিকিৎসা দরকার তা তো পাচ্ছিই না, এখন অক্সিজেনও পাচ্ছি না। ডাক্তার বলেছেন, অক্সিজেন লেভেল ঠিক না হওয়া পর্যন্ত অক্সিজেন কন্টিনিউভাবে দিতে হবে।
‘আমরা বেড পাইনি, তাই সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন দিয়েও অক্সিজেন নিতে পারিনি। সিলিন্ডারের ভরসায় বসে থাকতে হয় তীর্থের কাকের মতো। কখন অক্সিজেন শেষ হবে, আবার কখন গিয়ে নতুন সিলিন্ডার আনব সেই টেনশনেই থাকতে হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘সকাল থেকে দাঁড়িয়ে রয়েছি। দুপুরের পর গাড়িতে অক্সিজেনের সিলিন্ডার এসেছে। প্রতিদিন যদি ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে সিলিন্ডারের ভরসায় বসে থাকতে হয় তাহলে তো রোগী বাঁচানো সম্ভব নয়। দ্রুত এটার স্থায়ী সমাধান চাচ্ছি।’
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘অক্সিজেনের কোনো সংকট নেই। সংকট রয়েছে অক্সিজেন সিলিন্ডারের। আমরা আরও অক্সিজেন সিলিন্ডার চেয়েছি। ওগুলো চলে আসলে আর সমস্যা থাকবে না ৩০০ শয্যার এই করোনা ইউনিটে।’