বরিশালে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার পাশাপাশি দোকান খোলা রাখার অপরাধে ২২ হাজার টাকা জরিমানা

:
: ৪ years ago

বরিশাল জেলা প্রশাসনের নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ৮ এপ্রিল বুধবার সকাল থেকে বরিশাল মহানগরীর চৌমাথা, নতুল্লাবাদ, আমতলার মোড়, সাগরদী, রুপাতলী, নতুল্লাবাদ, সদর রোড, চকবাজার, লাইন রোড, কাটপট্টি, কাউনিয়া এলাকায় জেলা প্রশাসন বরিশাল এর পক্ষ থেকে ২ টি মোবাইল কোর্ট টিম অভিযান পরিচালনা করেন।

বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অধিক মানুষের সমাগম এবং চায়ের দোকানসহ প্রয়োজনীয় দোকান খোলা রাখা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা পালনের পাশাপাশি গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে। জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, অজিয়র রহমানের নির্দেশনায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বরিশাল মোঃ নাজমুল হুদা এবং শরীফ মোঃ হেলাল উদ্দিন। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে গণসচেতনতা ও লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি এ সময় বিভিন্ন টি-স্টল, মুদি দোকান ও এলাকার মোড়ে মোড়ে যেখানেই জনসমাগম দেখা গেছে তা ছত্রভঙ্গ করা হয় এবং নিরাপদ দূরত্বে চলার নির্দেশনা, মাক্স পরার নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

পাশাপাশি সবাইকে যৌক্তিক প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে আসতে নিষেধ করা হয় এবং এ আদেশ অমান্যাকরীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেয় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নাজমুল হুদা। অভিযান পরিচালনা কালে টিসিবি এবং ওএমএস এর পণ্য বিক্রয় কালে গ্রাহকদের লম্বা লাইনে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থানের বিষয়টি সামনে থেকে তদারকি করা হয় এবং এ দূরত্ব বজায় রেখে গ্রাহকসেবা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। এসময় নগরীর লাইন নাজির মহল্ল, বাজার রোড, কাউনিয়া এলাকায় অভিযান চলাকালে জনসমাগম করে অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রাখার অপরাধে পাঁচটি দোকানকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা অাদায় করা হয়। নগরীর নাজির মহল্ল এলাকায় অপ্রয়োজনে বাইরে বেরিয়ে ঘোরাফেরা করা এবং মোবাইল কোর্ট টিমের কার্যক্রম মোবাইলে ভিডিও করার অপরাধে ফুয়াদ নামের এক যুবক কে দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারা মোতাবেক ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কাউনিয়া এলাকায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা কালে চায়ের দোকান খোলা রেখে জনসমাগম করার অপরাধের একই আইনে সোহেল মোল্লা কে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

একই স্থানে অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রেখে জনসমাগম করার অপরাধের দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ২৬৯ ধারা মোতাবেক মোঃ মিজানুর রহমান কে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি বাজার রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে একই আইনে অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রেখে জনসমাগম করার অপরাধের দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ২৬৯ ধারা মোতাবেক মোঃ ইব্রাহিম কে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই স্থানে চায়ের দোকান খোলা রেখে জনসমাগম করার অপরাধে দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারা মোতাবেক কৃষ্ণ নামের এক ব্যক্তি কে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। প্রসিকিউসন অফিসার হিসাবে স্যানিটারি অফিসার ও নিরাপদ খাদ্য ইন্সপেক্টর জাকির হোসেন সহযোগিতা করেন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও গণসচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনায় ক্যাপ্টেন আশফানুল হক সহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৭ম পদাতিক ডিভিশনের টিম সহযোগিতা করেন। অপরদিকে বরিশাল মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বরিশাল শরীফ মোঃ হেলাল উদ্দিন।

অভিযানকালে সবাইকে যৌক্তিক প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে আসতে নিষেধ করা হয় এবং এ আদেশ অমান্যাকরীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। নগরীর বিভিন্ন প্রান্তের টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যে সামাজিক দূরত্ব মেনে লাইন তৈরির বিষয়টি দাঁডিয়ে থেকে তদারকি করেন এবং সেখানে হ্যান্ড মাইক ব্যবহার করে জনসচেতনতা সৃষ্টি করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট। এসময় তিনি নগরীর স্ব রোড, বেলতলা খেয়াঘাট, বাজার রোডসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চলাকালে জনসমাগম করে অপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রাখার অপরাধে চারটি দোকানকে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা অাদায় করা হয়। নগরীর বাজার রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপ্রয়োজনীয় দোকান টিনের আরদ খোলা রেখে জনসমাগম করার অপরাধে সংক্রামক রোগ (নিয়ন্ত্রণ, প্রতিরোধ ও নির্মূল) আইন ২০১৮ এর ২৪ ধারায় মোঃ দুলাল হাওলাদার এর হেলাল উদ্দিন আহমেদ কে ৫ হাজার টাকা করে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। নগরীর স্ব রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপ্রয়োজনীয় হার্ডওয়ারের দোকান খোলা রেখে জনসমাগম করার অপরাধে একই আইনে কামাল উদ্দিন কে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

পাশাপাশি বেলতলা খেয়াঘাটে অধিক যাত্রী পরিবহনের দায়ে টলার চালক মোঃ সিপন হোসেন কে একই আইনে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করেন এএসপি মুকুর চাকমা সহ র‍্যাব ৮ এর সদস্যরা। অভিযান শেষে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদ্বয় বলেন, জনগণকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষায় জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, অজিয়র রহমান সদা সচেষ্ট এবং তাঁর নির্দেশনায় নিয়মিত এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।