চতুর্থ পরিষদের সিটি নির্বাচনকে ঘিরে নগরীর সাধারণ ভোটার থেকে শুরু করে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের এতোটা আত্মবিশ্বাসী কখনও দেখা যায়নি। বিগত তিনটি নির্বাচনে আওয়ামীলীগকে এভাবে ঐক্যবদ্ধ হতেও দেখেননি কেউ। নৌকার মাঝি সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে নিয়ে আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে বরিশাল নগরীর সাধারণ ভোটার থেকে শুরু করে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
সাদিক আব্দুল্লাহর হাত ধরে দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ‘বিসিসি জয়’ এখন ক্রমশই বরিশালের আকাশে দৃশ্যমান হচ্ছে। বিগত সিটি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের যে গৃহ বিবাদ ছিল এবার এর ছিটেফোটাও নেই। প্রবীণ থেকে তরুণ, কেন্দ্র থেকে জেলা, মহানগর, উপজেলা সবখানে এখন সাদিক আব্দুল্লাহকে নিয়ে স্বপ্ন রচনা শুরু হয়েছে। সে স্বপ্নের সুতিকাগার বরিশাল আওয়ামীলীগের তৃণমূল। বহু বিভক্ত তৃণমূলের নেতাকর্মীদের স্বপ্নের কান্ডারী এখন সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। নগরীর তরুন ভোটার তানভির আহম্মেদ অভি কিংবা ফরহাদ সরদার সবার চোখেমুখে এখন তরুন মেয়র প্রার্থী সাদিক আব্দুল্লাহকে নিয়ে স্বপ্ন। এবার সাদিকের হাত ধরেই নগর পিতার আসন পুনরুদ্ধার হবে আওয়ামীলীগের।
সূত্রমতে, ২০০২ সালে পৌরসভা থেকে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে রূপান্তরিত হবার পর নগর পিতার আসনটি মিউজিক্যাল চেয়ারে পরিণত হয়। প্রথম মেয়র হন সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আহসান হাবিব কামাল। এরপর নির্বাচিত মেয়র হন (বর্তমান বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী) এ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার। ২০০৮ সালের নির্বাচনে শওকত হোসেন হিরনের মাধ্যমে নগর পিতার আসনে প্রথম বসেন আওয়ামীলীগের কোন নেতা। তৃতীয় পরিষদের নির্বাচনে আবার এ আসনটি বিএনপির আহসান হাবিব কামালের করায়াত্ব হয়। ২০১৩ সালের নির্বাচনের আগেই খন্ড বিখন্ড হয়ে পরে আওয়ামীলীগ। এ সুযোগটি কাজে লাগিয়ে সে সময় বিএনপি নির্বাচনে জয়লাভ করে। হিরণের মৃত্যুর পর আরও করুণ অবস্থার সৃষ্টি হয়। আর ঠিক সে সময়েই (আওয়ামীলীগের চরম ক্লান্তি লগ্নে) বরিশাল নগরবাসীর একমাত্র কান্ডারি হয়ে আবির্ভাব ঘটে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর। নিজের প্রজ্ঞা ও মেধার সমন্বয়ে তিনি বেশ স্বল্প সময়ে এক কাতারে নিয়ে আসেন দীর্ঘদিনের দ্বিধা বিভক্ত আওয়ামীলীগকে। তার রাজনৈতিক মেধার পরিচয়ে মুগ্ধ হন দলের হাইকমান্ড থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
পরবর্তীতে যুবলীগ থেকে তাকে নিয়ে আসা হয় মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে। দায়িত্বও বেড়ে যায় কয়েকগুন। নিজেকে একজনযোগ্য রাজনৈতিক হিসেবে গড়ে তুলতে সাদিক আব্দুল্লাহ প্রবীণদের অনুকরণ করেন। ছুটে চলেন বিভিন্নস্থানের নেতাকর্মী, সমর্থক থেকে শুরু করে সাধারণ নগরবাসীর দুঃখ ভাগ করে নিতে। দিন-রাত পরিশ্রম করতে থাকেন। তার এ পরিশ্রম বৃথা যায়নি। ক্রমন্বয়ে শক্তিশালী সাংগঠনিক রূপ পেতে থাকে বরিশাল মহানগর আওয়ামীলীগ। সূত্রে আরও জানা গেছে, শুধু মহানগরেই সীমাবদ্ধ না থেকে জেলার সর্বত্র সাদিক আব্দুল্লাহর অস্থিত্ব ছিল সরব। আর সে কারণেই এবার সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের দাবি ছিল সাদিক আব্দুল্লাহকে মেয়র পদে মনোনয়ন দেয়ার জন্য। কেন্দ্র থেকেও দেরি করেনি। সাদিক আব্দুল্লাহর হাতেই তুলে দেয়া হয় নৌকার বৈঠা। গন্তব্য বরিশাল সিটি কর্পোরেশন।
মহানগর আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুল বলেন, ইনশআল্লাহ এবার আওয়ামীলীগের বিজয় কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না। সাবেক মেয়র শওকত হোসেন হিরণ বরিশাল নগরীতে যে উন্নয়নের বিপ্লব শুরু করেছিলেন, তা অব্যাহত রাখতে সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর মতো একজন তরুণ নেতার কোন বিকল্প নেই। তাই সেরনিয়াবাত পরিবারের গর্ব সাদিক আব্দুল্লাহকে নিয়ে আওয়ামীলীগসহ গোটা নগরবাসী স্বপ্ন দেখছেন। মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল দৃঢ় কন্ঠে বলেন, তার রাজনৈতিক জীবনে বরিশাল আওয়ামীলীগকে এতোটা ঐক্যবদ্ধ কখনও দেখেননি। আশা করা হচ্ছে আসন্ন সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে ইতিহাসের সর্বোচ্চ ভোটের ব্যবধানে আওয়ামীলীগ জয়লাভ করে দেশের সবচেয়ে তরুণ মেয়র হবেন সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।