বরিশালে বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসি নিউজের ক্যামেরাপার্সন সুমন হাসানকে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কতিপয় সদস্য কর্তৃক অমানবিক নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে যা বললেন পুলিশ কমিশনার এসএম রুহুল আমিন। তিনি বলেন, সুমন হাসানকে নির্যাতনের ঘটনায় বুধবার তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এডিসি রুনা লায়লাকে প্রধান করে এই কমিটিকে বৃহ্ষ্পতিবারের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন।
তিনি বুধবার দুপুরে একটি হত্যাকান্ডের ঘটনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে সুমনের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন এবং তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি জানান। এসময় তিনি বলেন, তদন্তে কার কতটুকু দোষ এটা দেখে অপরাধ অনুযায়ী বিভাগীয় শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিশাল পুলিশ বাহিনীর মধ্যে কিছু খারাপ থাকতে পারে। আমরা চাইবো তারা সংশোধন হবে তারা থাকবে নয়তো চলে যাবে। তিনি বলেন, আমি সাধারণ মানুষের অপরাধ যে চোঁখে দেখি, পুলিশ সদস্যদের অপরাধও একই দৃষ্টিতে দেখি। কেউ অপরাধ করলে তার শাস্তি হবে। ভালো খারাপ সব জায়গাতেই রয়েছে।
এদিকে নির্যাতনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাব ও বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি। আলাদা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনদুটির নেতৃবৃন্দ সুমনের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে তদন্ত পূর্বক দোষী পুলিশ সদস্যদের বিচারের দাবী জানিয়েছেন।
অপরদিকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ক্যামেরাপার্সন সুমান হাসান নির্যাতনের বিষয়ে বলেন, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বিউটি রোডের অভিযান শেষে হঠাৎ করেই ডিবি পুলিশের এসআই আবুল বাশারসহ তার টিমের সদস্যরা আমার ওপর চড়াও হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা (ডিবি পুলিশ) আমাকে বেধড়ক মারধর শুরু করে এবং গায়ের জামা-কাপর ছিড়ে ফেলে। একপর্যায়ে জোর করে লাঠি দিয়ে মারধর করে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে টানতে টানতে খালি শরীরেই ওই গাড়িতে তোলা হয় আমাকে। পরে আমাকে গাড়ির ভেতরে তুলে আমার প্যান্টের বেল্ট দিয়ে গলা পেছনের দিকে টেনে ধরা হয় এবং স্পর্শকাতর স্থান চেপে ধরে। তারপর ডিবি অফিসে নিয়েও আমার বুকের ওপর লাথি দেয়াসহ বিভিন্ন ভাবে মারধর করে।