বরিশালে সাংবাদিক মুনির হোসেন’র মৃত্যু বার্ষিকীকে জনতার ঢল

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago
????????????????????????????????????

বরিশাল প্রেসক্লাব (শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাব) এর সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বরিশাল সাংস্কৃতিক সমন্বয় পরিষদের সাধারন সম্পাদক এবং বরিশাল জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ’র সভাপতি, হিজলার কৃতি সন্তান সাংবাদিক মুনির হোসেন তালুকদারের ১২ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে হিজলা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণ সভা।

সভায় সভাপতিত্ব করেন হিজলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি প্রেমজিলাল দাস।

প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সাংসদ পংকজ নাথ। তিনি বলেন, কঠিন সময়ে সাহসী সাংবাদিক ছিলেন মুনির হোসেন। তার লেখনি ছিল উন্নত মানের। সত্যকে তুলে ধরতেন সব ময়েয়। স্বাধীনতার বিরোধী চক্রের সাথে কখনো আপোষ করেননি। সংসদ সদস্য বলেন, বর্তমান প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ দেশের সকল মানুষের উন্নয়নের চিন্তা করেন। তারা দেশের টাকা বিদেশে পাচার, জঙ্গি হামলার মাধ্যমে নিরীহ মানুষ হত্যা, স্কুল কমিটির টাকা চুরি, স্কুলের পুকুরে মাছ বিক্রি, গাছ বিক্রি করে টাকা চুরি করার শিক্ষা দেয়নি নেতা-কর্মীদের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তর পৈত্রিক সম্পত্তি ট্রাস্টি করে দিয়েছেন। নিজের নামে একটুকরা জমি করেননি। এটা বিশ্বে একটি মডের পরিবার।

তিনি বলেন, হিজলা- মেহেন্দিগঞ্জের মানুষকে চরের মানুষ বলা হয়। আগামীতে আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এলে এই চরের মানুষ আর কেউ থাকবে না। প্রতিটি গ্রাম হবে শহর। এই পরিকল্পনা আছে আগামী দিনের জন্য। নদী বেষ্টিত এই দুইট উপজেলায় গাড়ি চলবে। রহমতপুর থেকে হরিনাথপুর পর্যন্ত বিশ্ব রোড হবে। মীরগঞ্জ ফেরীর পরিবর্ত মীরগঞ্জ সেতু হবে। মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলায় আগামী ৩ মাসের মধ্যে লোডশেডিং দূর হবে। হিজলার চরাঞ্চলে বিদ্যুৎ প্লাল্ড হচ্ছে। এখান থেকে ২১০ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

তিনি আরো বলেন, গত ৫ বছরে এ আসনে যে উন্নয়ন হয়েছে তা অন্য কোথাও হয়নি। এমপি হয়ে কখনো কারো ক্ষতির চিন্তা করিনি। তা না হলে বিএনপির হিজলার আহবায়ক আঃ গফফার তালুকদার একটি ইটের ভাট থেকে ৩টি ইটভাটা করতে পারতেন না। হিজলার চরাঞ্চলে কয়েক শ জমির মালিক হতে পারতেন না। আমার নেত্রী শেখ হাসিনা ঐ হিংসাত্মক মনোভাবের শিক্ষা দেননি বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। আওয়া,ী লীগ ও অংঙ্গসগঠনের সকল নেতাকর্মী উন্নয়ন নিয়েই চিন্তা করে সর্বদা। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তাই সকল মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে আগামী নির্বাচনে তার পাশে থাকার আহবান এবং ভুল তুটি হয়ে থাকলে সন্তান হিসেবে মার্জনা করার অনুরোধ জানান।

অনান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডঃ তোফাজ্জেল হক চৌধুরী (খোকা), বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক কাজী তৌহিদুল আলম মাসুদ, ভাষা সৈনিক নায়েব আব্দুল কুদ্দুস, সরকারী হিজলা কলেজ এর সাবেক অধ্যক্ষ খগেন চন্দ্র বিশ্বাস, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কউন্সিলের সাবেক কমান্ডার আমির হোসেন তালুকদার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন হাওলাদার, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোহছেনা বেগম, গুয়াবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শাহজাহান তালুকদার, হিজলা-গৌরবদী ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মিলন, বড়জালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান পন্ডিত সাহাবুদ্দিন আহাম্মেদ, হরিনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান, মেমানিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ বরিশাল জেলা (উত্তর) সাধারণ সম্পাদক মাস্টার নেয়ামত উল্লাহ, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের উপজেলা সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম খান রিজভী, শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাব এর সহ সভাপতি এম এম আমজাদ হোসাইন, সাবেক সহ-সভাপতি গোপাল সরকার, দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকার চিফ রিপোর্টার তৌফিক মারুফ, দৈনিক সমকালের বরিশাল ব্যুরো প্রধান পুলক চ্যাটার্জী, শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক এস.এম জাকির হোসেন, যুগান্তর বরিশাল ব্যুরো প্রধান আখতার ফারুক সাহিন, চ্যানেল আই বরিশাল প্রতিনিধি শাহিনা আজমিন, শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ প্রথম সকাল পত্রিকার সম্পাদক কাজী আল মামুন, দপ্তর সম্পাদক এম এম মোফাজ্জেল, সদস্য সাইফুর রহমান মিরন, আমাদের সময় ব্যুরো প্রধান আল মামুন, মতবাদ বার্তা সম্পাদক সৈয়দ মেহেদী, ন্যায় অন্যায় বার্তা সম্পদক রিয়াজ পাটোয়ারী, ভোরের অঙ্গিকার বার্তা সম্পাদক মোঃ রিপন, হিজলা প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেন, সদস্য ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, মাহাবুবুল হক সুমন, প্রমূখ। সভা সঞ্চালনা করেন হিজলা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক সুমনুর রহমান সোহাগ।

অনান্য বক্তারা বলেন, মুনির হোসেন তালুকদার এর মৃত্যুতে আমরা হারিয়েছি একজন জনপ্রিয় রাজনৈতিক, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে। তাঁর এ শূন্যতা কখনো পূরণ হবার নয়।