বরিশাল নগরীর লুৎফর রহমান সড়কের ভাড়াটিয়া বাসা থেকে স্বাস্থ্য বিভাগের উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) মারুফা আক্তারের (৪১) রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩ টার দিকে ওই সড়কের শরীফ মঞ্জিলের তৃতীয় তলার একটি ফ্লাট থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত মারুফা আক্তার কাশীপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র’র উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ও নগরীর গণপাড়া এলাকার জহিরুল হায়দার চৌধুরীর স্ত্রী। তার স্বামী জহুর হায়দার চৌধুরী ঢাকায় প্রগতি লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানীতে কর্মরত রয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বরিশাল এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের সেকেন্ড অফিসার অরবিন্দু বিশ্বাস জানান, দুপুরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। পারিপার্শিক দিক বিবেচনা করে প্রাথমিক ভাবে এই ঘটনাটি রহস্যজনক হত্যাকান্ড হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে। কেননা মারুফা আক্তারের বাসাটি ভিতর থেকে আটকানো ছিল এবং তার ডান কান ও মাথায় ধারলো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

এদিকে স্খানীয় সূত্রে জানাগেছে, মারুফা আক্তার এই বাসায় ৭ বছর ধরে ভাড়া থাকতেন। দুপুরে তার ঘরের ভেতর মরদেহ এমনভাবে পরে থাকতে দেখা গেছে, যা দেখে ধর্ষনের পরে হত্যার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে বলে দাবী প্রতিবেশীদের।

এ বিষয়ে এয়ারপোর্ট থানার ওসি (তদন্ত) এ আর মুকুল জানান, ধর্ষনের পরে হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে। তবে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে এ বিষয়গুলো বেরিয়ে আসবে বলে জানান তিনি।