বরিশালে সংঘর্ষ: ইউএনও-ওসির বিরুদ্ধে দুই মামলার আবেদন

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

বরিশাল সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমান ও কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে দুটি মামলার আবেদন করা হয়েছে।

রোববার (২২ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে বরিশালের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুম বিল্লাহর আদালতে মামলা দুটির আবেদন করা হয়। এর মধ্যে একটি মামলার আবেদন করেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) প্যানেল মেয়র ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন। অপর মামলাটির আবেদন করেন বিসিসির রাজস্ব কর্মকর্তা বাবুল হালদার। দুই মামলাতেই ইউএনও মুনিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস।

তিনি জানান, আমরা শতভাগ নিশ্চিত আবেদন দুটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করবেন আদালত। মামলা দুটিতে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে শত্রুপক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ইউএনও মুনিবুর রহমান ও কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলামসহ তাদের সহযোগীরা হত্যার উদ্দেশ্যে গুলিবর্ষণ ও মারধর করেছেন এবং তারা ভাঙচুর করে ১০০ কোটি টাকার সম্পদের ক্ষতি করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

একটি মামলার বাদী অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, ‘নিয়মিত কাজ করতে গেলে ইউএনও বাধা প্রদান করেন এবং গুলিবর্ষণ করেন। এরপর সেখানে তিনি পুলিশ এনে তাদের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর গুলিবর্ষণ ও বেধড়ক মারধর করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের মতোই তিনি বরিশালে ১৮ আগস্ট সিটি মেয়রসহ নেতাকর্মী, সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের হত্যার জন্য গুলি চালান। এই অপরাধের বিচার চাইতেই আমরা আদালতে এসেছি।’

অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকনের মামলায় ইউএনও মুনিবুর রহমান ছাড়াও আসামি করা হয়েছে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম, ওই থানার এসআই শাহজালাল মল্লিক, ইউএনওর নিরাপত্তারক্ষী পাঁচ আনসার সদস্য এবং অজ্ঞাতনামা ৫০ জনকে।

অন্যদিকে সিটি করপোরেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা বাবুল হালদারের করা মালায় আসামি করা হয়েছে ইউএনও মুনিবুর রহমান, তার নিরাপত্তায় নিয়োজিত পাঁচ আনসার সদস্য এবং অজ্ঞাতনামা ৫০ জনকে।

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহের বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দল, আনসার ও পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুজনের চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। আহত হয়েছেন শতাধিক। ওই ঘটনায় ইউএনও মুনিবুর রহমান গুলিবর্ষণ করেন বলে অভিযোগ আছে।

ঘটনার পর ইউএনও নিজে এবং কোতোয়ালী থানার এসআই শাহজালাল মল্লিক বাদী হয়ে বিসিসি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহকে প্রধান আসামি করে ৬০২ জনের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলা করেন। এ দুই মামলায় এরই মধ্যে এক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আজ রোববার গ্রেফতারকৃত আসামিদের জামিন আবেদন করা হলেও তা নামঞ্জুর করেন আদালত।