বানারীপাড়ায় বৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ হানা দেওয়ার আশঙ্কায় বিপাকে পড়েছে কৃষক। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে শ্রমিক সংকট। ফলে ফসল নষ্টের ভয়ে আছেন তাঁরা। বানারীপাড়ার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার বোরো চাষ করে তাঁরা ভেবেছিলেন অনেক লাভবান হবেন।
ঘরে ঘরে থাকবে নতুন ফসল তোলার আনন্দ। কিন্তু এখন বৃষ্টিতে ভাসছে খেত। গতকাল সোমবার দুপুরে বানারীপাড়ার বিভিন্ন বোরো খেত ঘুরে দেখা গেছে ধান ঘরে তোলার চেষ্টারত কৃষকদের। ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে খেতে কাজ করছেন তাঁরা।
সলিয়া বাকপুর ইউনিয়নের আহমেদাবাদ বেতালের ১০ একর জমিতে আবাদকারী কৃষক ইয়ার হোসেনের সঙ্গে কথা হলে বলেন, ‘এ বছর আমাদের ফসল খুব ভালো হয়েছিল। হঠাৎ ক্ষতিকারক কারেন্ট পোকার আক্রমণ, শ্রমিক সংকট আর বৈরী আবহাওয়ায় খেতের ফসল হুমকিতে পড়েছে।
ফসল আবাদ করে অনেক লাভের আশা করেছিলাম। এখন যে খরচ হয়েছে তা উঠবে কি না তাই নিয়ে সন্দেহ।’ একই এলাকার কৃষক মো. মালেক ও মো. জসিম জানান, ফসল ভালো হওয়া সত্ত্বেও এই বৈরী আবহাওয়া ও বৃষ্টির কারণে ঘরে কতটুকু নিতে পারবেন তা সঠিক জানা নেই।
বানারীপাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অল্প কিছু কৃষকের আগাম ফসল পাকার কারণে এবং নিজস্ব লোকজন থাকায় ধান ঘরে তুলতে পেরেছেন। তা ছাড়া সব জায়গাতেই ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে কৃষকদের।
বানারীপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বিশ্বাস বলেন, বৈরী আবহাওয়া ও ভ্যাপসা গরমের কারণে ধানখেতে পোকা হয়। তবে ধান দাঁড়ানো অবস্থায় থাকতে কীটনাশক প্রয়োগের মাধ্যমে পোকা নির্মূল হতে পারে।
সরকারি সহযোগিতায় বিভিন্ন প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ওষুধ, বীজ ও সার দিয়ে কৃষকদের সহায়তা করা হয়। ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপারে এ মুহূতে কিছু করার নেই, তবে এর প্রভাবে ক্ষতি হলে পরে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।