#

বরিশাল নগরীতে শ্রমিক নেতার কার্যালয় ও বাস কাউন্টার ভাংচুর করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। শ্রমিকদের বিরুদ্ধে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ তুলে এ ভাংচুরের ঘটনা ঘটায় তারা। এ নিয়ে বাস শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এর আগে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বরিশাল নগরীর রূপাতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় গোল চত্ত্বর সংলগ্নে শ্রমিক নেতার কার্যালয় বাকেরগঞ্জ বাস কাউন্টারে এই ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। তবে শ্রমিক নেতার কার্যালয়ে ভাংচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বরিশাল বিশ^বিদ্যালয়ের গনিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ও বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ রিফাত।

ভুক্তভোগী বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও বরিশাল জেলা বাস-মিনিবাস, মাইক্রোবাসা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ জানান, ‘নগরীতে ট্রাফিক পুলিশের অভিযান চলছে। তারা সড়কের ওপর বাস না রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বুধবার সন্ধ্যার দিকে রূপাতলী গোল চত্ত্বরে রাস্তার পাশে থামিয়ে যাত্রী ওঠানো একটি মাহেন্দ্রকে সামনে আগানোর জন্য বলে। এসময় মাহেন্দ্রতে বসা ছিলো বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা শিফাত ও তার গার্লফ্রেন্ড। তখন শিফাত প্রতিবাদ জানাতেই ঘটনাস্থলে থাকা মালিক সমিতির কেরানী টিপু’র সাথে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা শিফাতের কথা কাটাকাটি হয়।

তখন শিফাত গালাগাল করে ওই শ্রমিক সহ বাস মালিক নেতাদের। খবর পেয়ে শ্রমিক নেতা সুলতান মাহমুদ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা শিফাতকে তার কার্যালয়ে ডেকে নেয়। কিছুক্ষণ পরেই শিফাতের সহযোগী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা রিফাত সহ একদল নেতা-কর্মী ঘটনাস্থলে পৌছে শ্রমিক নেতা সুলতান মাহমুদ এর কার্যালয়ে অতর্কিত ভাবে হামলা ও ভাংচুর করে।

ঘটনাটি শ্রমিকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে মুহুর্তের মধ্যে উত্তজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সবে সন্ধ্যায় এই ঘটনার পরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা পুনরায় রূপাতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় ঝালকাঠি বাস কাউন্টারে ভাংচুর করে বলে অভিযোগ করেছেন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বরিশাল বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ শিফাত বলেন। রূপাতলী বাস শ্রমিকরা সব সময় যাত্রীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে থাকে। আমি বুধবার সন্ধ্যার পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবার জন্য বাস টার্মিনাল এলাকায় মাহেন্দ্রতে বসা ছিলাম।

তখান এক শ্রমিক এসে মাহেন্দ্র চালকের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। আমি এর প্রতিবাদ করি। সে জন্য শ্রমিকরা আমার সাথেও খারাপ ব্যবহার করে। ঘটনাটি আমার সহপাঠী এবং ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা যানতে পেরে ঘটনাস্থলে এসে একটু হইচই করে। তবে কোন শ্রমিক নেতার কার্যালয় বা কোন বাস কাউন্টার ভাংচুরের অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবী এই ছাত্রলীগ নেতার।

কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. নরুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ছাত্র, বাস মালিক এবং শ্রমিক নেতাদের নিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

 

উত্তর দিন

Please enter your comment!
এখানে আপনার নাম লিখুন