বরিশালে শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

বরিশালের গৌরনদীর ১২ নং পশ্চিম খাঞ্জাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবু হানিফ মোল্লার বিরুদ্ধে এক সহকারী শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উপ-পরিচালক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, গৌরনদীর পৌর মেয়র ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করে অভিযুক্তের বিচারের দাবি করেছেন ওই ওই শিক্ষিকা।

ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে অভিযুক্ত শিক্ষক ও  শিক্ষক সংগঠনের স্থানীয় কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ উঠেছে।

ওই শিক্ষিকা জানান, তার সহকর্মী আবু হানিফ দীর্ঘদিন ধরে তাকে যৌন হয়রানি করে আসছে। তাকে নিবৃত্ত করার জন্য তিনি বিভিন্ন সময় তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। এমনকি তার স্বামীর মাধ্যমেও তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সে নিবৃত্ত হয়নি। সে সরাসরি মুঠোফোনে এমনকি চিঠিপত্রের মাধ্যমে তাকে যৌন হয়রানি করে আসছে।

সবশেষ কিছুদিন আগে তিনি তার স্বামীর সাথে জরুরী ফোনালাপের জন্য তিনি বিরতির সময় বিদ্যালয় ভবনের ছাদে ওঠেন। এ সময় সহকারী শিক্ষক হানিফ হঠাৎ লুঙ্গি- গেঞ্জি পরিহিত অবস্থায় পেছন থেকে তাকে জড়িয়ে ধরে শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করলে তিনি কর্মচারী হালিমকে ডাক দিতে দিতে নিচে নেমে পড়েন। তাৎক্ষণিক বিষয়টি প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষিকা সুমা পালকে অবহিত করেন তিনি।

প্রধান শিক্ষিকা এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় বিষয়টি তিনি বিভিন্ন দপ্তরে লিখিতভাবে অবহিত করেন। জেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার দীর্ঘ সময় কোন পদক্ষেপ নেয় নি। বিচার চাওয়ার ব্যাপারটি আবু হানিফ জানতে পেরে সে তাকে বাড়াবাড়ি না করার জন্য মুঠোফোনে হুমকি দেয়। তার মুঠোফোনে হুমকির রেকর্ড সহ অন্যান্য প্রমানাদি তার কাছে রয়েছে বলে দাবি করেন হয়রানির শিকার ওই শিক্ষিকা।

যৌন হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক আবু হানিফ বলেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। একটি মহল তার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফয়সাল জামিল বলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ মুন্সী ও ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা খাদিজা আক্তার বিষয়টি তাকে মৌখিকভাবে অবহিত করেন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে সহকারী শিক্ষক আবু হানিফকে ডেপুটেশনে মাগুরা মাদারীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পদায়ন করেন। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবেন।

বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এসএম ফারুক বলেন, অভিযোগ তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।