বরিশালে লঞ্চের ধাক্কায় বাল্কহেডডুবি: ৫ দিনেও সন্ধান মেলেনি সুকানীর

:
: ২ years ago

বরিশালের বানারীপাড়ায় সন্ধ্যা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় বাল্কহেডডুবির ঘটনায় নিখোঁজের ৫ দিনেও সন্ধান মেলেনি বাল্কহেডের সুকানী মিলন হাওলাদারের (৩৫)।

তবে ঘটনার পরদিন শ্রমিক কালামের (৬০) লাশ উদ্ধার হয়। তাদের দুজনের বাড়ি পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) উপজেলার নান্দুহার গ্রামে।

দুর্ঘটনার পর থেকে মিলনের খোঁজে সন্ধ্যা নদীর বানারীপাড়া, স্বরূপকাঠি ও উজিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ট্রলার নিয়ে সন্ধানের পাশাপাশি প্রতিদিন মাইকিং করা হচ্ছে। তার বাড়িতে বইছে শোকের মাতম।

প্রসঙ্গত, পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে গত ৮ আগস্ট সোমবার রাত পৌনে ৯টার দিকে বানারীপাড়ার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের মসজিদবাড়ি (দাসেরহাট) এলাকায় সন্ধ্যা নদীতে এমভি মর্নিংসান-৯ লঞ্চের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে বালুবাহী একটি বাল্কহেড ডুবে যায়।

নিখোঁজ হয় বাল্কহেডের দু’শ্রমিক কালাম ও মিলন। সংঘর্ষে লঞ্চের সামনের দিকের ডানপাশে পানির স্তরের কিছুটা উপরে ছিদ্র হয়। এতে যাত্রীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ কারণে স্থানীয় প্রশাসন রাতে ওই লঞ্চের যাত্রা স্থগিত করে।

জানা যায়, দুর্ঘটনাস্থলের অদূরে লঞ্চটি উজিরপুরের চৌধুরীর হাটে নোঙর করলে লঞ্চে থাকা আশপাশের বিভিন্ন উপজেলার দু’শতাধিক যাত্রী নেমে গন্তব্যে চলে যায়।

এরপর শতাধিক যাত্রী লঞ্চে অবস্থান করে। পরের দিন ৯ আগস্ট সকালে ডুবে যাওয়া বাল্কহেডের সন্ধান মেলে মসজিদবাড়ি গ্রামের একটি ইটভাটা সংলগ্ন সন্ধ্যা নদীর তলদেশে।

ওই দিন বেলা পৌনে ১২টার দিকে ওই বাল্কহেডের ভেতর থেকে নিখোঁজ দু’শ্রমিকের মধ্যে ইঞ্জিন রুমের মিস্ত্রি কালামের (৫৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ তার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ময়না তদন্ত শেষে স্বরূপকাঠি উপজেলার নান্দুহার গ্রামে তার লাশ দাফন করা হয়।

এদিকে বাল্কহেডের সুকানী মিলনের (৩৩) সন্ধান পায়নি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা। বাল্কহেডটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এদিকে সংঘর্ষে এমভি মর্নিংসান-৯ লঞ্চের ছিদ্র হওয়া তলা সাময়িক মেরামত করে শতাধিক যাত্রী নিয়ে মঙ্গলবার সকালেই ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।