অটোরিকশা ছিনতাইয়ের পর চালক রুমানকে হত্যা করে নদীতে মরদেহ ফেলে দেওয়ার ঘটনায় একজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আসামির স্ত্রীকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে এই রায় ঘোষণা করেন বরিশাল জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ টি এম মুসা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী লস্কর নুরুল হক। তিনি জানান, আসামির উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ের পর তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মামলার অপর আসামি নিহত ব্যক্তির স্ত্রী খাদিজা আক্তারকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আসলাম তালুকদার ভোলা সদর থানার রইদের হাট এলাকার মৃত সিদ্দিক তালুকদারের ছেলে।
আদালত সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ২৯ জুন রাতে বরিশাল নগরীর দক্ষিণ সাগরদির ধান গবেষণা রোড থেকে আসামি আসলাম পূর্বপরিকল্পিতভাবে মেরী পরিবহন নামের একটি ব্যাটারিচালিত অটো ছিনতাইয়ের জন্য বাকেরগঞ্জে নিয়ে যান ভাড়া করে। পরে সেখানে অটোচালক রুমানকে গলা ও পেট কেটে হত্যা করেন। গুম করার জন্য লাশ পার্শ্ববর্তী পান্ডব নদে ফেলে দেন। পরে অটো গাড়িটির রং পরিবর্তিত অবস্থায় আসামির কাছ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় অটোরিকশার মালিক বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় আসলাম ও তার স্ত্রী খাদিজার বিরুদ্ধে মামলা করেন। ২০২১ সালের ৩১ মে আসলাম ও খাদিজার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। আদালত ২৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসলামকে মৃত্যুদণ্ড ও খাদিজাকে খালাস দেন।